Az-Zukhruf

SI AYAT & ORTHO UCCHARON & ENGLISH MEANING
1 حمٓ হা-মীম।
হা-মীম। Ha-Mim
2 وَٱلْكِتَٰبِ ٱلْمُبِينِ ওয়াল কিতা-বিল মুবীন।
শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের, By the Book that makes things clear,-
3 إِنَّا جَعَلْنَٰهُ قُرْءَٰنًا عَرَبِيًّا لَّعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ ইন্না-জা‘আলনা-হু কুরআ-নান ‘আরাবিইইয়াল লা‘আল্লাকুম তা‘কিলূন।
আমি একে করেছি কোরআন, আরবী ভাষায়, যাতে তোমরা বুঝ। We have made it a Qur'an in Arabic, that ye may be able to understand (and learn wisdom).
4 وَإِنَّهُۥ فِىٓ أُمِّ ٱلْكِتَٰبِ لَدَيْنَا لَعَلِىٌّ حَكِيمٌ ওয়া ইন্নাহূফীউম্মিল কিতা-বি লাদাইনা-লা‘আলিইয়ুন হাকীম।
নিশ্চয় এ কোরআন আমার কাছে সমুন্নত অটল রয়েছে লওহে মাহফুযে। And verily, it is in the Mother of the Book, in Our Presence, high (in dignity), full of wisdom.
5 أَفَنَضْرِبُ عَنكُمُ ٱلذِّكْرَ صَفْحًا أَن كُنتُمْ قَوْمًا مُّسْرِفِينَ আফানাদরিবু‘আনকুমুযযিকরা সাফহান আন কুনতুম কাওমাম মুছরিফীন।
তোমরা সীমাতিক্রমকারী সম্প্রদায়-এ কারণে কি আমি তোমাদের কাছ থেকে কোরআন প্রত্যাহার করে নেব? Shall We then take away the Message from you and repel (you), for that ye are a people transgressing beyond bounds?
6 وَكَمْ أَرْسَلْنَا مِن نَّبِىٍّ فِى ٱلْأَوَّلِينَ ওয়া কাম আরছালনা-মিন নাবিইয়িন ফিল আওওয়ালীন।
পূর্ববর্তী লোকদের কাছে আমি অনেক রসূলই প্রেরণ করেছি। But how many were the prophets We sent amongst the peoples of old?
7 وَمَا يَأْتِيهِم مِّن نَّبِىٍّ إِلَّا كَانُوا۟ بِهِۦ يَسْتَهْزِءُونَ ওয়ামা-ইয়া’তীহিম মিন নাবিইয়িন ইল্লা-কা-নূবিহী ইয়াছতাহঝি’ঊন।
যখনই তাদের কাছে কোন রসূল আগমন করেছেন, তখনই তারা তাঁর সাথে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করেছে। And never came there a prophet to them but they mocked him.
8 فَأَهْلَكْنَآ أَشَدَّ مِنْهُم بَطْشًا وَمَضَىٰ مَثَلُ ٱلْأَوَّلِينَ ফাআহলাকনাআশাদ্দা মিনহুম বাতশাওঁ ওয়া মাদা-মাছালুল আওওয়ালীন।
সুতরাং আমি তাদের চেয়ে অধিক শক্তি সম্পন্নদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছি। পূর্ববর্তীদের এ ঘটনা অতীত হয়ে গেছে। So We destroyed (them)- stronger in power than these;- and (thus) has passed on the Parable of the peoples of old.
9 وَلَئِن سَأَلْتَهُم مَّنْ خَلَقَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضَ لَيَقُولُنَّ خَلَقَهُنَّ ٱلْعَزِيزُ ٱلْعَلِيمُ ওয়া লাইন ছাআলতাহুম মান খালাকাছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ালআরদালাইয়াকূলুন্না খালাকাহুন্নাল ‘আঝীঝুল ‘আলীম।
আপনি যদি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন কে নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল সৃষ্টি করেছে? তারা অবশ্যই বলবে, এগুলো সৃষ্টি করেছেন পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহ। If thou wert to question them, 'Who created the heavens and the earth?' They would be sure to reply, 'they were created by (Him), the Exalted in Power, Full of Knowledge';-
10 ٱلَّذِى جَعَلَ لَكُمُ ٱلْأَرْضَ مَهْدًا وَجَعَلَ لَكُمْ فِيهَا سُبُلًا لَّعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ আল্লাযী জা‘আলা লাকুমুল আরদা মাহদাওঁ ওয়া জা‘আলা লাকুম ফীহা-ছুবুলাল লা‘আল্লাকুম তাহতাদূন।
যিনি তোমাদের জন্যে পৃথিবীকে করেছেন বিছানা এবং তাতে তোমাদের জন্যে করেছেন পথ, যাতে তোমরা গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে পার। (Yea, the same that) has made for you the earth (like a carpet) spread out, and has made for you roads (and channels) therein, in order that ye may find guidance (on the way);
11 وَٱلَّذِى نَزَّلَ مِنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءًۢ بِقَدَرٍ فَأَنشَرْنَا بِهِۦ بَلْدَةً مَّيْتًا كَذَٰلِكَ تُخْرَجُونَ ওয়াল্লাযী নাঝঝালা মিনাছ ছামাই মাআম বিকাদারিন ফাআনশারনা-বিহী বালদাতাম মাইতান কাযা-লিকা তুখরাজুন।
এবং যিনি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছেন পরিমিত। আতঃপর তদ্দ্বারা আমি মৃত ভূ-ভাগকে পুনরুজ্জীবিত করেছি। তোমরা এমনিভাবে উত্থিত হবে। That sends down (from time to time) rain from the sky in due measure;- and We raise to life therewith a land that is dead; even so will ye be raised (from the dead);-
12 وَٱلَّذِى خَلَقَ ٱلْأَزْوَٰجَ كُلَّهَا وَجَعَلَ لَكُم مِّنَ ٱلْفُلْكِ وَٱلْأَنْعَٰمِ مَا تَرْكَبُونَ ওয়াল্লাযী খালাকাল আঝওয়া-জা কুল্লাহা- ওয়াজা‘আলা লাকুম মিনালফুলকি ওলআন‘আমি মাতারকাবূন।
এবং যিনি সবকিছুর যুগল সৃষ্টি করেছেন এবং নৌকা ও চতুস্পদ জন্তুকে তোমাদের জন্যে যানবাহনে পরিণত করেছেন, That has created pairs in all things, and has made for you ships and cattle on which ye ride,
13 لِتَسْتَوُۥا۟ عَلَىٰ ظُهُورِهِۦ ثُمَّ تَذْكُرُوا۟ نِعْمَةَ رَبِّكُمْ إِذَا ٱسْتَوَيْتُمْ عَلَيْهِ وَتَقُولُوا۟ سُبْحَٰنَ ٱلَّذِى سَخَّرَ لَنَا هَٰذَا وَمَا كُنَّا لَهُۥ مُقْرِنِينَ লিতাছতায়ূ‘আলা-জু হূরিহী ছু ম্মা তাযকুরূনি‘মাতা রাব্বিকুম ইযাছতাওয়াইতুম ‘আলাইহি ওয়া তাকূলূছুবহা-নাল্লাযী ছাখখারা লানা-হাযা-ওয়ামা-কুন্না-লাহূমুকরিনীন।
যাতে তোমরা তাদের পিঠের উপর আরোহণ কর। অতঃপর তোমাদের পালনকর্তার নেয়ামত স্মরণ কর এবং বল পবিত্র তিনি, যিনি এদেরকে আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন এবং আমরা এদেরকে বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না। In order that ye may sit firm and square on their backs, and when so seated, ye may celebrate the (kind) favour of your Lord, and say, "Glory to Him Who has subjected these to our (use), for we could never have accomplished this (by ourselves),
14 وَإِنَّآ إِلَىٰ رَبِّنَا لَمُنقَلِبُونَ ওয়া ইন্নাইলা-রাব্বিনা লামুনকালিবূন।
আমরা অবশ্যই আমাদের পালনকর্তার দিকে ফিরে যাব। "And to our Lord, surely, must we turn back!"
15 وَجَعَلُوا۟ لَهُۥ مِنْ عِبَادِهِۦ جُزْءًا إِنَّ ٱلْإِنسَٰنَ لَكَفُورٌ مُّبِينٌ ওয়া জা‘আলূলাহূমিন ‘ইবা-দিহী জুঝআন ইন্নাল ইনছা-না লাকাফূরুম মুবীন।
তারা আল্লাহর বান্দাদের মধ্য থেকে আল্লাহর অংশ স্থির করেছে। বাস্তবিক মানুষ স্পষ্ট অকৃতজ্ঞ। Yet they attribute to some of His servants a share with Him (in his godhead)! truly is man a blasphemous ingrate avowed!
16 أَمِ ٱتَّخَذَ مِمَّا يَخْلُقُ بَنَاتٍ وَأَصْفَىٰكُم بِٱلْبَنِينَ আমিত্তাখাযা মিম্মা-ইয়াখলুকুবানাতিওঁ ওয়া আসফা-কুম বিলবানীন।
তিনি কি তাঁর সৃষ্টি থেকে কন্যা সন্তান গ্রহণ করেছেন এবং তোমাদের জন্য মনোনীত করেছেন পুত্র সন্তান? What! has He taken daughters out of what He himself creates, and granted to you sons for choice?
17 وَإِذَا بُشِّرَ أَحَدُهُم بِمَا ضَرَبَ لِلرَّحْمَٰنِ مَثَلًا ظَلَّ وَجْهُهُۥ مُسْوَدًّا وَهُوَ كَظِيمٌ ওয়া ইযা-বুশশিরা আহাদুহুম বিমা-দারাবা লিররাহমা-নি মাছালান জাল্লা ওয়াজহুহূ মুছওয়াদ্দাওঁ ওয়া হুওয়া কাজীম।
তারা রহমান আল্লাহর জন্যে যে, কন্যা-সন্তান বর্ণনা করে, যখন তাদের কাউকে তার সংবাদ দেয়া হয়, তখন তার মুখমন্ডল কালো হয়ে যায় এবং ভীষণ মনস্তাপ ভোগ করে। When news is brought to one of them of (the birth of) what he sets up as a likeness to (Allah) Most Gracious, his face darkens, and he is filled with inward grief!
18 أَوَمَن يُنَشَّؤُا۟ فِى ٱلْحِلْيَةِ وَهُوَ فِى ٱلْخِصَامِ غَيْرُ مُبِينٍ আওয়া মাইঁ ইউনাশশাউ ফিল হিলয়াতি ওয়া হুওয়া ফিল খিসা-মি গাইরু মুবীন।
তারা কি এমন ব্যক্তিকে আল্লাহর জন্যে বর্ণনা করে, যে অলংকারে লালিত-পালিত হয় এবং বিতর্কে কথা বলতে অক্ষম। Is then one brought up among trinkets, and unable to give a clear account in a dispute (to be associated with Allah)?
19 وَجَعَلُوا۟ ٱلْمَلَٰٓئِكَةَ ٱلَّذِينَ هُمْ عِبَٰدُ ٱلرَّحْمَٰنِ إِنَٰثًا أَشَهِدُوا۟ خَلْقَهُمْ سَتُكْتَبُ شَهَٰدَتُهُمْ وَيُسْـَٔلُونَ ওয়াজা‘আলুল মালাইকাতাল্লাযীনা হুম ‘ইবা-দুররাহমা-নি ইনা-ছান আশাহিদূ খালকাহুম ছাতুকতাবুশাহা-দাতুহুম ওয়া ইউছআলূন।
তারা নারী স্থির করে ফেরেশতাগণকে, যারা আল্লাহর বান্দা। তারা কি তাদের সৃষ্টি প্রত্যক্ষ করেছে? এখন তাদের দাবী লিপিবদ্ধ করা হবে এবং তাদের জিজ্ঞাসা করা হবে। And they make into females angels who themselves serve Allah. Did they witness their creation? Their evidence will be recorded, and they will be called to account!
20 وَقَالُوا۟ لَوْ شَآءَ ٱلرَّحْمَٰنُ مَا عَبَدْنَٰهُم مَّا لَهُم بِذَٰلِكَ مِنْ عِلْمٍ إِنْ هُمْ إِلَّا يَخْرُصُونَ ওয়া কা-লূলাও শাআররাহমা-নুমা-‘আবাদনা-হুম মা-লাহুম বিযা-লিকা মিন ‘ইলমিন ইন হুম ইল্লা-ইয়াখরুসূন।
তারা বলে, রহমান আল্লাহ ইচছা না করলে আমরা ওদের পূজা করতাম না। এ বিষয়ে তারা কিছুই জানে না। তারা কেবল অনুমানে কথা বলে। ("Ah!") they say, "If it had been the will of (Allah) Most Gracious, we should not have worshipped such (deities)!" Of that they have no knowledge! they do nothing but lie!
21 أَمْ ءَاتَيْنَٰهُمْ كِتَٰبًا مِّن قَبْلِهِۦ فَهُم بِهِۦ مُسْتَمْسِكُونَ আম আ-তাইনা-হুম কিতা-বাম মিন কাবলিহী ফাহুম বিহী মুছতামছিকূন।
আমি কি তাদেরকে কোরআনের পূর্বে কোন কিতাব দিয়েছি, অতঃপর তারা তাকে আঁকড়ে রেখেছে? What! have We given them a Book before this, to which they are holding fast?
22 بَلْ قَالُوٓا۟ إِنَّا وَجَدْنَآ ءَابَآءَنَا عَلَىٰٓ أُمَّةٍ وَإِنَّا عَلَىٰٓ ءَاثَٰرِهِم مُّهْتَدُونَ বাল কা-লূইন্না-ওয়াজাদনাআ-বাআনা ‘আলাউম্মাতিওঁ ওয়া ইন্না-‘আলাআছা-রিহিম মুহতাদূন।
বরং তারা বলে, আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে পেয়েছি এক পথের পথিক এবং আমরা তাদেরই পদাংক অনুসরণ করে পথপ্রাপ্ত। Nay! they say: "We found our fathers following a certain religion, and we do guide ourselves by their footsteps."
23 وَكَذَٰلِكَ مَآ أَرْسَلْنَا مِن قَبْلِكَ فِى قَرْيَةٍ مِّن نَّذِيرٍ إِلَّا قَالَ مُتْرَفُوهَآ إِنَّا وَجَدْنَآ ءَابَآءَنَا عَلَىٰٓ أُمَّةٍ وَإِنَّا عَلَىٰٓ ءَاثَٰرِهِم مُّقْتَدُونَ ওয়া কাযা-লিকা মাআরছালনা-মিন কাবলিকা ফী কারইয়াতিম মিন নাযীরিন ইল্লা-কালা মুতরাফূহা ইন্না-ওয়াজাদনাআ-বাআনা ‘আলাউম্মাতিওঁ ওয়া ইন্না-‘আলা আ-ছা-রিহিম মুকতাদূ ন।
এমনিভাবে আপনার পূর্বে আমি যখন কোন জনপদে কোন সতর্ককারী প্রেরণ করেছি, তখনই তাদের বিত্তশালীরা বলেছে, আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে পেয়েছি এক পথের পথিক এবং আমরা তাদেরই পদাংক অনুসরণ করে চলছি। Just in the same way, whenever We sent a Warner before thee to any people, the wealthy ones among them said: "We found our fathers following a certain religion, and we will certainly follow in their footsteps."
24 قَٰلَ أَوَلَوْ جِئْتُكُم بِأَهْدَىٰ مِمَّا وَجَدتُّمْ عَلَيْهِ ءَابَآءَكُمْ قَالُوٓا۟ إِنَّا بِمَآ أُرْسِلْتُم بِهِۦ كَٰفِرُونَ কা-লা আওয়ালাও জি’তুকুম বিআহ দা-মিম্মা-ওয়াজাত্তুম ‘আলাইহি আ-বাআকুম কালূইন্না-বিমাউরছিলতুম বিহী কা-ফিরূন।
সে বলত, তোমরা তোমাদের পূর্বপুরুষদেরকে যে বিষয়ের উপর পেয়েছ, আমি যদি তদপেক্ষা উত্তম বিষয় নিয়ে তোমাদের কাছে এসে থাকি, তবুও কি তোমরা তাই বলবে? তারা বলত তোমরা যে বিষয়সহ প্রেরিত হয়েছ, তা আমরা মানব না। He said: "What! Even if I brought you better guidance than that which ye found your fathers following?" They said: "For us, we deny that ye (prophets) are sent (on a mission at all)."
25 فَٱنتَقَمْنَا مِنْهُمْ فَٱنظُرْ كَيْفَ كَانَ عَٰقِبَةُ ٱلْمُكَذِّبِينَ ফানতাকামনা-মিনহুম ফানজুর কাইফা কা-না ‘আ-কিবাতুল মুকাযযিবীন।
অতঃপর আমি তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিয়েছি। অতএব দেখুন, মিথ্যারোপকারীদের পরিণাম কিরূপ হয়েছে। So We exacted retribution from them: now see what was the end of those who rejected (Truth)!
26 وَإِذْ قَالَ إِبْرَٰهِيمُ لِأَبِيهِ وَقَوْمِهِۦٓ إِنَّنِى بَرَآءٌ مِّمَّا تَعْبُدُونَ ওয়া ইযকা-লা ইবরাহীমুলিআবীহি ওয়া কাওমিহীইন্নানী বারাউম মিম্মা-তা‘বুদূন।
যখন ইব্রাহীম তার পিতা ও সম্প্রদায়কে বলল, তোমরা যাদের পূজা কর, তাদের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। Behold! Abraham said to his father and his people: "I do indeed clear myself of what ye worship:
27 إِلَّا ٱلَّذِى فَطَرَنِى فَإِنَّهُۥ سَيَهْدِينِ ইল্লাল্লাযী ফাতারানী ফাইন্নাহূছাইয়াহদীন।
তবে আমার সম্পর্ক তাঁর সাথে যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। অতএব, তিনিই আমাকে সৎপথ প্রদর্শন করবেন। "(I worship) only Him Who made me, and He will certainly guide me."
28 وَجَعَلَهَا كَلِمَةًۢ بَاقِيَةً فِى عَقِبِهِۦ لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ ওয়া জা‘আলাহা-কালিমাতাম বা-কিয়াতান ফী ‘আকিবিহী লা‘আল্লাহুম ইয়ারজি‘ঊন।
এ কথাটিকে সে অক্ষয় বাণীরূপে তার সন্তানদের মধ্যে রেখে গেছে, যাতে তারা আল্লাহর দিকেই আকৃষ্ট থাকে। And he left it as a Word to endure among those who came after him, that they may turn back (to Allah).
29 بَلْ مَتَّعْتُ هَٰٓؤُلَآءِ وَءَابَآءَهُمْ حَتَّىٰ جَآءَهُمُ ٱلْحَقُّ وَرَسُولٌ مُّبِينٌ বাল মাত্তা‘তুহাউলাইওয়াআ-বাআহুম হাত্তা-জাআহুমুল হাক্কু ওয়া রাছুলুম মুবীন।
পরন্ত আমিই এদেরকে ও এদের পূর্বপুরুষদেরকে জীবনোপভোগ করতে দিয়েছি, অবশেষে তাদের কাছে সত্য ও স্পষ্ট বর্ণনাকারী রসূল আগমন করেছে। Yea, I have given the good things of this life to these (men) and their fathers, until the Truth has come to them, and a messenger making things clear.
30 وَلَمَّا جَآءَهُمُ ٱلْحَقُّ قَالُوا۟ هَٰذَا سِحْرٌ وَإِنَّا بِهِۦ كَٰفِرُونَ ওয়া লাম্মা-জাআহুমুল হাক্কুকা-লূহা-যা-ছিহরুওঁ ওয়া ইন্না-বিহী কা-ফিরূন।
যখন সত্য তাদের কাছে আগমন করল, তখন তারা বলল, এটা যাদু, আমরা একে মানি না। But when the Truth came to them, they said: "This is sorcery, and we do reject it."
31 وَقَالُوا۟ لَوْلَا نُزِّلَ هَٰذَا ٱلْقُرْءَانُ عَلَىٰ رَجُلٍ مِّنَ ٱلْقَرْيَتَيْنِ عَظِيمٍ ওয়া কা-লূলাওলা-নুঝঝিলা হা-যাল কুরআন-নু‘আলা-রাজুলিম মিনাল কারইয়াতাইনি ‘আজীম।
তারা বলে, কোরআন কেন দুই জনপদের কোন প্রধান ব্যক্তির উপর অবতীর্ণ হল না? Also, they say: "Why is not this Qur'an sent down to some leading man in either of the two (chief) cities?"
32 أَهُمْ يَقْسِمُونَ رَحْمَتَ رَبِّكَ نَحْنُ قَسَمْنَا بَيْنَهُم مَّعِيشَتَهُمْ فِى ٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَا وَرَفَعْنَا بَعْضَهُمْ فَوْقَ بَعْضٍ دَرَجَٰتٍ لِّيَتَّخِذَ بَعْضُهُم بَعْضًا سُخْرِيًّا وَرَحْمَتُ رَبِّكَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُونَ আহুম ইয়াকছিমূনা রাহমাতা রাব্বিকা নাহনুকাছামনা-বাইনাহুম মা‘ঈশাতাহুম ফিল হায়া-তিদ্দুনইয়া-ওয়া রাফা‘না-বা‘দাহুম ফাওকা বা‘দিন দারাজা-তিল লিইয়াত্তাখিযা বা‘দুহুম বা‘দান ছুখরিইইয়াওঁ ওয়া রাহমাতুরাব্বিকা খাইরুম মিম্মা-ইয়াজমা‘ঊন।
তারা কি আপনার পালনকর্তার রহমত বন্টন করে? আমি তাদের মধ্যে তাদের জীবিকা বন্টন করেছি পার্থিব জীবনে এবং একের মর্যাদাকে অপরের উপর উন্নীত করেছি, যাতে একে অপরকে সেবক রূপে গ্রহণ করে। তারা যা সঞ্চয় করে, আপনার পালনকর্তার রহমত তদপেক্ষা উত্তম। Is it they who would portion out the Mercy of thy Lord? It is We Who portion out between them their livelihood in the life of this world: and We raise some of them above others in ranks, so that some may command work from others. But the Mercy of thy Lord is better than the (wealth) which they amass.
33 وَلَوْلَآ أَن يَكُونَ ٱلنَّاسُ أُمَّةً وَٰحِدَةً لَّجَعَلْنَا لِمَن يَكْفُرُ بِٱلرَّحْمَٰنِ لِبُيُوتِهِمْ سُقُفًا مِّن فِضَّةٍ وَمَعَارِجَ عَلَيْهَا يَظْهَرُونَ ওয়া লাওলাআইঁ ইয়াকূনান্না-ছুউম্মাতাওঁ ওয়া-হিদাতাল লাজা‘আলনা-লিমাইঁ ইয়াকফুরু বিররাহমা-নি লিবুইঊতিহিম ছুকু ফাম মিন ফিদ্দাতিওঁ ওয়া মা‘আ-রিজা ‘আলাইহাইয়াজহারূন।
যদি সব মানুষের এক মতাবলম্বী হয়ে যাওয়ার আশংকা না থাকত, তবে যারা দয়াময় আল্লাহকে অস্বীকার করে আমি তাদেরকে দিতাম তাদের গৃহের জন্যে রৌপ্য নির্মিত ছাদ ও সিঁড়ি, যার উপর তারা চড়ত। And were it not that (all) men might become of one (evil) way of life, We would provide, for everyone that blasphemes against (Allah) Most Gracious, silver roofs for their houses and (silver) stair-ways on which to go up,
34 وَلِبُيُوتِهِمْ أَبْوَٰبًا وَسُرُرًا عَلَيْهَا يَتَّكِـُٔونَ ওয়া লিবুইউতিহিম আবওয়া-বাওঁ ওয়া ছুরুরান ‘আলাইহা-ইয়াত্তাকিঊন।
এবং তাদের গৃহের জন্যে দরজা দিতাম এবং পালংক দিতাম যাতে তারা হেলান দিয়ে বসত। And (silver) doors to their houses, and thrones (of silver) on which they could recline,
35 وَزُخْرُفًا وَإِن كُلُّ ذَٰلِكَ لَمَّا مَتَٰعُ ٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَا وَٱلْءَاخِرَةُ عِندَ رَبِّكَ لِلْمُتَّقِينَ ওয়া যুখরুফাওঁ ওয়া ইন কুল্লুযা-লিকা লাম্মা-মাতা‘উল হায়াতিদ্দুনইয়া- ওয়াল আ-খিরাতু‘ইনদা রাব্বিকা লিলমুত্তাকীন।
এবং স্বর্ণনির্মিতও দিতাম। এগুলো সবই তো পার্থিব জীবনের ভোগ সামগ্রী মাত্র। আর পরকাল আপনার পালনকর্তার কাছে তাঁদের জন্যেই যারা ভয় করে। And also adornments of gold. But all this were nothing but conveniences of the present life: The Hereafter, in the sight of thy Lord is for the Righteous.
36 وَمَن يَعْشُ عَن ذِكْرِ ٱلرَّحْمَٰنِ نُقَيِّضْ لَهُۥ شَيْطَٰنًا فَهُوَ لَهُۥ قَرِينٌ ওয়া মাইঁ ইয়া‘শু ‘আন যিকরির রাহমা-নি নুকাইয়িদ লাহূশাইতা-নান ফাহুওয়া লাহূ কারীন।
যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহর স্মরণ থেকে চোখ ফিরিয়ে নেয়, আমি তার জন্যে এক শয়তান নিয়োজিত করে দেই, অতঃপর সে-ই হয় তার সঙ্গী। If anyone withdraws himself from remembrance of (Allah) Most Gracious, We appoint for him an evil one, to be an intimate companion to him.
37 وَإِنَّهُمْ لَيَصُدُّونَهُمْ عَنِ ٱلسَّبِيلِ وَيَحْسَبُونَ أَنَّهُم مُّهْتَدُونَ ওয়া ইন্নাহুম লাইয়াসুদ্দূনাহুম ‘আনিছছাবীলি ওয়া ইয়াহছাবূনা আন্নাহুম মুহতাদূন।
শয়তানরাই মানুষকে সৎপথে বাধা দান করে, আর মানুষ মনে করে যে, তারা সৎপথে রয়েছে। Such (evil ones) really hinder them from the Path, but they think that they are being guided aright!
38 حَتَّىٰٓ إِذَا جَآءَنَا قَالَ يَٰلَيْتَ بَيْنِى وَبَيْنَكَ بُعْدَ ٱلْمَشْرِقَيْنِ فَبِئْسَ ٱلْقَرِينُ হাত্তাইযা-জাআনা কা-লা ইয়া-লাইতা বাইনী ওয়া বাইনাকা বু‘দাল মাশরিকাইনি ফাবি‘ছাল কারীন।
অবশেষে যখন সে আমার কাছে আসবে, তখন সে শয়তানকে বলবে, হায়, আমার ও তোমার মধ্যে যদি পূর্ব-পশ্চিমের দূরত্ব থাকত। কত হীন সঙ্গী সে। At length, when (such a one) comes to Us, he says (to his evil companion): "Would that between me and thee were the distance of East and West!" Ah! evil is the companion (indeed)!
39 وَلَن يَنفَعَكُمُ ٱلْيَوْمَ إِذ ظَّلَمْتُمْ أَنَّكُمْ فِى ٱلْعَذَابِ مُشْتَرِكُونَ ওয়া লাইঁ ইয়ানফা‘আকুমুল ইয়াওমা ইযজালামতুম আন্নাকুম ফিল ‘আযা-বি মুশতারিকূন।
তোমরা যখন কুফর করছিলে, তখন তোমাদের আজকের আযাবে শরীক হওয়া কোন কাজে আসবে না। When ye have done wrong, it will avail you nothing, that Day, that ye shall be partners in Punishment!
40 أَفَأَنتَ تُسْمِعُ ٱلصُّمَّ أَوْ تَهْدِى ٱلْعُمْىَ وَمَن كَانَ فِى ضَلَٰلٍ مُّبِينٍ আফাআনতা তুছমি‘উস সুম্মা আও তাহ দিল ‘উমইয়া ওয়া মান কা-না ফী দালা-লিম মুবীন।
আপনি কি বধিরকে শোনাতে পারবেন? অথবা যে অন্ধ ও যে স্পষ্ট পথ ভ্রষ্টতায় লিপ্ত, তাকে পথ প্রদর্শণ করতে পারবেন? Canst thou then make the deaf to hear, or give direction to the blind or to such as (wander) in manifest error?
41 فَإِمَّا نَذْهَبَنَّ بِكَ فَإِنَّا مِنْهُم مُّنتَقِمُونَ ফাইম্মা-নাযহাবান্না বিকা ফাইন্না-মিনহুম মুনতাকিমূন।
অতঃপর আমি যদি আপনাকে নিয়ে যাই, তবু আমি তাদের কাছে থেকে প্রতিশোধ নেব। Even if We take thee away, We shall be sure to exact retribution from them,
42 أَوْ نُرِيَنَّكَ ٱلَّذِى وَعَدْنَٰهُمْ فَإِنَّا عَلَيْهِم مُّقْتَدِرُونَ আও নুরিইয়ান্নাকাল্লাযী ওয়া ‘আদনা-হুম ফাইন্না ‘আলাইহিম মুকতাদিরূন।
অথবা যদি আমি তাদেরকে যে আযাবের ওয়াদা দিয়েছি, তা আপনাকে দেখিয়ে দেই, তবু তাদের উপর আমার পূর্ণ ক্ষমতা রয়েছে। Or We shall show thee that (accomplished) which We have promised them: for verily We shall prevail over them.
43 فَٱسْتَمْسِكْ بِٱلَّذِىٓ أُوحِىَ إِلَيْكَ إِنَّكَ عَلَىٰ صِرَٰطٍ مُّسْتَقِيمٍ ফাছতামছিক বিল্লাযীঊহিয়া ইলাইকা ইন্নাকা ‘আলা-সিরা-তিম মুছতাকীম।
অতএব, আপনার প্রতি যে ওহী নাযিল করা হয়, তা দৃঢ়ভাবে অবলম্বন করুন। নিঃসন্দেহে আপনি সরল পথে রয়েছেন। So hold thou fast to the Revelation sent down to thee; verily thou art on a Straight Way.
44 وَإِنَّهُۥ لَذِكْرٌ لَّكَ وَلِقَوْمِكَ وَسَوْفَ تُسْـَٔلُونَ ওয়া ইন্নাহূলাযিকরুল্লাকা ওয়া লিকাওমিকা ওয়া ছাওফা তুছআলূন।
এটা আপনার ও আপনার সম্প্রদায়ের জন্যে উল্লেখিত থাকবে এবং শীঘ্রই আপনারা জিজ্ঞাসিত হবেন। The (Qur'an) is indeed the message, for thee and for thy people; and soon shall ye (all) be brought to account.
45 وَسْـَٔلْ مَنْ أَرْسَلْنَا مِن قَبْلِكَ مِن رُّسُلِنَآ أَجَعَلْنَا مِن دُونِ ٱلرَّحْمَٰنِ ءَالِهَةً يُعْبَدُونَ ওয়াছআল মান আরছালনা-মিন কাবলিকা মিররুছুলিনাআজা‘আলনা-মিন দূনিররাহমা-নি আ-লিহাতাইঁ ইউ‘বাদূন।
আপনার পূর্বে আমি যেসব রসূল প্রেরণ করেছি, তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন, দয়াময় আল্লাহ ব্যতীত আমি কি কোন উপাস্য স্থির করেছিলাম এবাদতের জন্যে? And question thou our messengers whom We sent before thee; did We appoint any deities other than (Allah) Most Gracious, to be worshipped?
46 وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا مُوسَىٰ بِـَٔايَٰتِنَآ إِلَىٰ فِرْعَوْنَ وَمَلَإِي۟هِۦ فَقَالَ إِنِّى رَسُولُ رَبِّ ٱلْعَٰلَمِينَ ওয়া লাকাদ আরছালনা-মূছা-বিআ-য়া-তিনাইলা-ফিরআ‘ওনা ওয়া মালাইহী ফাকা-লা ইন্নী রাছূলুরাব্বিল ‘আ-লামীন।
আমি মূসাকে আমার নিদর্শনাবলী দিয়ে ফেরাউন ও তার পরিষদবর্গের কাছে প্রেরণ করেছিলাম, অতঃপর সে বলেছিল, আমি বিশ্ব পালনকর্তার রসূল। We did send Moses aforetime, with Our Signs, to Pharaoh and his Chiefs: He said, "I am a messenger of the Lord of the Worlds."
47 فَلَمَّا جَآءَهُم بِـَٔايَٰتِنَآ إِذَا هُم مِّنْهَا يَضْحَكُونَ ফালাম্মা-জাআহুম বিআ-য়া-তিনাইযা হুম মিনহা-ইয়াদহাকূন।
অতঃপর সে যখন তাদের কাছে আমার নিদর্শনাবলী উপস্থাপন করল, তখন তারা হাস্যবিদ্রুপ করতে লাগল। But when he came to them with Our Signs, behold they ridiculed them.
48 وَمَا نُرِيهِم مِّنْ ءَايَةٍ إِلَّا هِىَ أَكْبَرُ مِنْ أُخْتِهَا وَأَخَذْنَٰهُم بِٱلْعَذَابِ لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ ওয়ামা-নূরীহিম মিন আ-য়া-তিন ইল্লা-হিয়া আকবারু মিন উখতিহা- ওয়া আখাযনা-হুম বিল ‘আযা-বি লা‘আল্লাহুম ইয়ারজি‘ঊন।
আমি তাদেরকে যে নিদর্শনই দেখাতাম, তাই হত পূর্ববর্তী নিদর্শন অপেক্ষা বৃহৎ এবং আমি তাদেরকে শাস্তি দ্বারা পাকড়াও করলাম, যাতে তারা ফিরে আসে। We showed them Sign after Sign, each greater than its fellow, and We seized them with Punishment, in order that they might turn (to Us).
49 وَقَالُوا۟ يَٰٓأَيُّهَ ٱلسَّاحِرُ ٱدْعُ لَنَا رَبَّكَ بِمَا عَهِدَ عِندَكَ إِنَّنَا لَمُهْتَدُونَ ওয়াকা-লূইয়াআইয়ুহাছছা-হিরুদ‘উলানা-রাব্বাকা বিমা-‘আহিদা ‘ইনদাকা ইন্নানালামুহতাদূ ন।
তারা বলল, হে যাদুকর, তুমি আমাদের জন্যে তোমার পালনকর্তার কাছে সে বিষয় প্রার্থনা কর, যার ওয়াদা তিনি তোমাকে দিয়েছেন; আমরা অবশ্যই সৎপথ অবলম্বন করব। And they said, "O thou sorcerer! Invoke thy Lord for us according to His covenant with thee; for we shall truly accept guidance."
50 فَلَمَّا كَشَفْنَا عَنْهُمُ ٱلْعَذَابَ إِذَا هُمْ يَنكُثُونَ ফালাম্মা-কাশাফনা-‘আনহুমুল ‘আযা-বা ইযা-হুম ইয়ানকুছূ ন।
অতঃপর যখন আমি তাদের থেকে আযাব প্রত্যাহার করে নিলাম, তখনই তারা অঙ্গীকার ভঙ্গ করতে লাগলো। But when We removed the Penalty from them, behold, they broke their word.
51 وَنَادَىٰ فِرْعَوْنُ فِى قَوْمِهِۦ قَالَ يَٰقَوْمِ أَلَيْسَ لِى مُلْكُ مِصْرَ وَهَٰذِهِ ٱلْأَنْهَٰرُ تَجْرِى مِن تَحْتِىٓ أَفَلَا تُبْصِرُونَ ওয়ানা-দা-ফির‘আওনুফী কাওমিহী কা-লা ইয়া-কাওমি আলাইছা লী মুলকুমিসরা ওয়া হাযিহিল আনহা-রু তাজরী মিন তাহতী আফালা-তুবসিরূন।
ফেরাউন তার সম্প্রদায়কে ডেকে বলল, হে আমার কওম, আমি কি মিসরের অধিপতি নই? এই নদী গুলো আমার নিম্নদেশে প্রবাহিত হয়, তোমরা কি দেখ না? And Pharaoh proclaimed among his people, saying: "O my people! Does not the dominion of Egypt belong to me, (witness) these streams flowing underneath my (palace)? What! see ye not then?
52 أَمْ أَنَا۠ خَيْرٌ مِّنْ هَٰذَا ٱلَّذِى هُوَ مَهِينٌ وَلَا يَكَادُ يُبِينُ আম আনা খাইরুম মিন হা-যাল্লাযী হুওয়া মাহীনুওঁ ওয়ালা-ইয়াকা-দুইউবীন।
আমি যে শ্রেষ্ট এ ব্যক্তি থেকে, যে নীচ এবং কথা বলতেও সক্ষম নয়। "Am I not better than this (Moses), who is a contemptible wretch and can scarcely express himself clearly?
53 فَلَوْلَآ أُلْقِىَ عَلَيْهِ أَسْوِرَةٌ مِّن ذَهَبٍ أَوْ جَآءَ مَعَهُ ٱلْمَلَٰٓئِكَةُ مُقْتَرِنِينَ ফালাওলাউলকিয়া ‘আলাইহি আছবিরাতুমমিনযাহাবিন আও জাআ মা‘আহুল মালাইকাতুমুকতারিনীন।
তাকে কেন স্বর্ণবলয় পরিধান করানো হল না, অথবা কেন আসল না তার সঙ্গে ফেরেশতাগণ দল বেঁধে? "Then why are not gold bracelets bestowed on him, or (why) come (not) with him angels accompanying him in procession?"
54 فَٱسْتَخَفَّ قَوْمَهُۥ فَأَطَاعُوهُ إِنَّهُمْ كَانُوا۟ قَوْمًا فَٰسِقِينَ ফাছতাখাফফা কাওমাহূফাআতা-‘ঊহু ইন্নাহুম কা-নূকাওমান ফা-ছিকীন।
অতঃপর সে তার সম্প্রদায়কে বোকা বানিয়ে দিল, ফলে তারা তার কথা মেনে নিল। নিশ্চয় তারা ছিল পাপাচারী সম্প্রদায়। Thus did he make fools of his people, and they obeyed him: truly were they a people rebellious (against Allah).
55 فَلَمَّآ ءَاسَفُونَا ٱنتَقَمْنَا مِنْهُمْ فَأَغْرَقْنَٰهُمْ أَجْمَعِينَ ফালাম্মাআ-ছাফূনানতাকামনা-মিনহুম ফাআগরাকনা-হুম আজমা‘ঈন।
অতঃপর যখন আমাকে রাগাম্বিত করল তখন আমি তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিলাম এবং নিমজ্জত করলাম। তাদের সবাইকে। When at length they provoked Us, We exacted retribution from them, and We drowned them all.
56 فَجَعَلْنَٰهُمْ سَلَفًا وَمَثَلًا لِّلْءَاخِرِينَ ফাজা‘আলনা-হুম ছালাফাওঁ ওয়া মাছালালিলল আ-খিরীন।
অতঃপর আমি তাদেরকে করে দিলাম অতীত লোক ও দৃষ্টান্ত পরবর্তীদের জন্যে। And We made them (a people) of the Past and an Example to later ages.
57 وَلَمَّا ضُرِبَ ٱبْنُ مَرْيَمَ مَثَلًا إِذَا قَوْمُكَ مِنْهُ يَصِدُّونَ ওয়ালাম্মা-দুরিবাবনুমারইয়ামা মাছালান ইযা-কাওমুকা মিনহু ইয়াসিদ্দূন।
যখনই মরিয়ম তনয়ের দৃষ্টান্ত বর্ণনা করা হল, তখনই আপনার সম্প্রদায় হঞ্জগোল শুরু করে দিল When (Jesus) the son of Mary is held up as an example, behold, thy people raise a clamour thereat (in ridicule)!
58 وَقَالُوٓا۟ ءَأَٰلِهَتُنَا خَيْرٌ أَمْ هُوَ مَا ضَرَبُوهُ لَكَ إِلَّا جَدَلًۢا بَلْ هُمْ قَوْمٌ خَصِمُونَ ওয়া কা-লূআ আ-লিহাতুনা-খাইরুন আম হুওয়া মা-দারাবূহু লাকা ইল্লা-জাদালান বাল হুম কাওমুন খাসিমূন।
এবং বলল, আমাদের উপাস্যরা শ্রেষ্ঠ, না সে? তারা আপনার সামনে যে উদাহরণ উপস্থাপন করে তা কেবল বিতর্কের জন্যেই করে। বস্তুতঃ তারা হল এক বিতর্ককারী সম্প্রদায়। And they say, "Are our gods best, or he?" This they set forth to thee, only by way of disputation: yea, they are a contentious people.
59 إِنْ هُوَ إِلَّا عَبْدٌ أَنْعَمْنَا عَلَيْهِ وَجَعَلْنَٰهُ مَثَلًا لِّبَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ ইন হুওয়া ইল্লা- ‘আবদুন আন‘আমনা- ‘আলাইহি ওয়া জা‘আলনা-হুমাছালাল লিবানীইছরাঈল।
সে তো এক বান্দাই বটে আমি তার প্রতি অনুগ্রহ করেছি এবং তাকে করেছি বণী-ইসরাঈলের জন্যে আদর্শ। He was no more than a servant: We granted Our favour to him, and We made him an example to the Children of Israel.
60 وَلَوْ نَشَآءُ لَجَعَلْنَا مِنكُم مَّلَٰٓئِكَةً فِى ٱلْأَرْضِ يَخْلُفُونَ ওয়া লাও নাশাউ লাজা‘আলনা-মিনকুম মালাইকাতান ফিল আরদিইয়াখলুফূন।
আমি ইচ্ছা করলে তোমাদের থেকে ফেরেশতা সৃষ্টি করতাম, যারা পৃথিবীতে একের পর এক বসবাস করত। And if it were Our Will, We could make angels from amongst you, succeeding each other on the earth.
61 وَإِنَّهُۥ لَعِلْمٌ لِّلسَّاعَةِ فَلَا تَمْتَرُنَّ بِهَا وَٱتَّبِعُونِ هَٰذَا صِرَٰطٌ مُّسْتَقِيمٌ ওয়া ইন্নাহূলা‘ইলমুল লিছছা-‘আতি ফালা-তামতারুন্না বিহা-ওয়াত্তাবি‘ঊনি হা-যাসিরাতুম মুছতাকীম।
সুতরাং তা হল কেয়ামতের নিদর্শন। কাজেই তোমরা কেয়ামতে সন্দেহ করো না এবং আমার কথা মান। এটা এক সরল পথ। And (Jesus) shall be a Sign (for the coming of) the Hour (of Judgment): therefore have no doubt about the (Hour), but follow ye Me: this is a Straight Way.
62 وَلَا يَصُدَّنَّكُمُ ٱلشَّيْطَٰنُ إِنَّهُۥ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ ওয়ালা-ইয়াসুদ্দান্নাকুমুশ শাইতা-নু ইন্নাহূলাকুম ‘আদুওউম মুবীন।
শয়তান যেন তোমাদেরকে নিবৃত্ত না করে। সে তোমাদের প্রকাশ্য শুত্রু। Let not the Evil One hinder you: for he is to you an enemy avowed.
63 وَلَمَّا جَآءَ عِيسَىٰ بِٱلْبَيِّنَٰتِ قَالَ قَدْ جِئْتُكُم بِٱلْحِكْمَةِ وَلِأُبَيِّنَ لَكُم بَعْضَ ٱلَّذِى تَخْتَلِفُونَ فِيهِ فَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ ওয়া লাম্মা-জাআ ‘ঈছা-বিলবাইয়িনা-তি কা-লা কাদ জি’তুকুম বিলহিকমাতি ওয়া লিউবাইয়িনা লাকুম বা‘দাল্লাযী তাখতালিফূনা ফীহি ফাত্তাকুল্লা-হা ওয়াআতী‘ঊন।
ঈসা যখন স্পষ্ট নিদর্শনসহ আগমন করল, তখন বলল, আমি তোমাদের কাছে প্রজ্ঞা নিয়ে এসেছি এবং তোমরা যে, কোন কোন বিষয়ে মতভেদ করছ তা ব্যক্ত করার জন্যে এসেছি, অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার কথা মান। When Jesus came with Clear Signs, he said: "Now have I come to you with Wisdom, and in order to make clear to you some of the (points) on which ye dispute: therefore fear Allah and obey me.
64 إِنَّ ٱللَّهَ هُوَ رَبِّى وَرَبُّكُمْ فَٱعْبُدُوهُ هَٰذَا صِرَٰطٌ مُّسْتَقِيمٌ ইন্নাল্লা-হা হুওয়া রাববী ওয়া রাব্বুকুম ফা‘বুদূ হু হা-যা-সিরাতুম মুছতাকীম।
নিশ্চয় আল্লাহই আমার পালনকর্তা ও তোমাদের পালনকর্তা। অতএব, তাঁর এবাদত কর। এটা হল সরল পথ। "For Allah, He is my Lord and your Lord: so worship ye Him: this is a Straight Way."
65 فَٱخْتَلَفَ ٱلْأَحْزَابُ مِنۢ بَيْنِهِمْ فَوَيْلٌ لِّلَّذِينَ ظَلَمُوا۟ مِنْ عَذَابِ يَوْمٍ أَلِيمٍ ফাখতালাফাল আহঝা-বুমিম বাইনিহিম ফাওয়াইলুলিলল্লাযীনা জালামূমিন ‘আযা-বি ইয়াওমিন আলীম।
অতঃপর তাদের মধ্যে থেকে বিভিন্ন দল মতভেদ সৃষ্টি করল। সুতরাং যালেমদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক দিবসের আযাবের দুর্ভোগ। But sects from among themselves fell into disagreement: then woe to the wrong-doers, from the Penalty of a Grievous Day!
66 هَلْ يَنظُرُونَ إِلَّا ٱلسَّاعَةَ أَن تَأْتِيَهُم بَغْتَةً وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ হাল ইয়ানজুরূনা ইল্লাছছা-‘আতা আন তা’তিয়াহুম বাগতাতাওঁ ওয়া হুম লা-ইয়াশ‘উরূন।
তারা কেবল কেয়ামতেরই অপেক্ষা করছে যে, আকস্মিকভাবে তাদের কাছে এসে যাবে এবং তারা খবর ও রাখবে না। Do they only wait for the Hour - that it should come on them all of a sudden, while they perceive not?
67 ٱلْأَخِلَّآءُ يَوْمَئِذٍۭ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ عَدُوٌّ إِلَّا ٱلْمُتَّقِينَ আলআখিল্লাউ ইয়াওমাইযিম বা‘দুহুম লিবা‘দিন ‘আদুওউন ইল্লাল মুত্তাকীন।
বন্ধুবর্গ সেদিন একে অপরের শত্রু হবে, তবে খোদাভীরুরা নয়। Friends on that day will be foes, one to another,- except the Righteous.
68 يَٰعِبَادِ لَا خَوْفٌ عَلَيْكُمُ ٱلْيَوْمَ وَلَآ أَنتُمْ تَحْزَنُونَ ইয়া-‘ইবাদি লা-খাওফুন ‘আলাইকুমুল ইয়াওমা ওয়ালাআনতুম তাহঝানূন।
হে আমার বান্দাগণ, তোমাদের আজ কোন ভয় নেই এবং তোমরা দুঃখিতও হবে না। My devotees! no fear shall be on you that Day, nor shall ye grieve,-
69 ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ بِـَٔايَٰتِنَا وَكَانُوا۟ مُسْلِمِينَ আল্লাযীনা আ-মানূবিআ-য়া-তিনা-ওয়া কা-নূমুছলিমীন।
তোমরা আমার আয়াতসমূহে বিশ্বাস স্থাপন করেছিলে এবং তোমরা আজ্ঞাবহ ছিলে। (Being) those who have believed in Our Signs and bowed (their wills to Ours) in Islam.
70 ٱدْخُلُوا۟ ٱلْجَنَّةَ أَنتُمْ وَأَزْوَٰجُكُمْ تُحْبَرُونَ উদখুলুল জান্নাতা আনতুম ওয়া আঝওয়া-জুকুম তুহবারূন।
জান্নাতের প্রবেশ কর তোমরা এবং তোমাদের বিবিগণ সানন্দে। Enter ye the Garden, ye and your wives, in (beauty and) rejoicing.
71 يُطَافُ عَلَيْهِم بِصِحَافٍ مِّن ذَهَبٍ وَأَكْوَابٍ وَفِيهَا مَا تَشْتَهِيهِ ٱلْأَنفُسُ وَتَلَذُّ ٱلْأَعْيُنُ وَأَنتُمْ فِيهَا خَٰلِدُونَ ইউতা-ফু‘আলাইহিম বিসিহা-ফিম মিন যাহাবিওঁ ওয়া আকওয়া-বিওঁ ওয়া ফীহা-মাতাশতাহীহিল আনফুছুওয়া তালাযযুল আ‘ইউনু ওয়া আনতুম ফীহা-খা-লিদূ ন।
তাদের কাছে পরিবেশন করা হবে স্বর্ণের থালা ও পানপাত্র এবং তথায় রয়েছে মনে যা চায় এবং নয়ন যাতে তৃপ্ত হয়। তোমরা তথায় চিরকাল অবস্থান করবে। To them will be passed round, dishes and goblets of gold: there will be there all that the souls could desire, all that their eyes could delight in: and ye shall abide therein (for eye).
72 وَتِلْكَ ٱلْجَنَّةُ ٱلَّتِىٓ أُورِثْتُمُوهَا بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ ওয়া তিলকাল জান্নাতুল্লাতীঊরিছতুমূহা-বিমা-কুনতুম তা‘মালূন।
এই যে, জান্নাতের উত্তরাধিকারী তোমরা হয়েছ, এটা তোমাদের কর্মের ফল। Such will be the Garden of which ye are made heirs for your (good) deeds (in life).
73 لَكُمْ فِيهَا فَٰكِهَةٌ كَثِيرَةٌ مِّنْهَا تَأْكُلُونَ লাকুম ফীহা-ফা-কিহাতুন কাছীরাতুম মিনহা-তা’কুলূন।
তথায় তোমাদের জন্যে আছে প্রচুর ফল-মূল, তা থেকে তোমরা আহার করবে। Ye shall have therein abundance of fruit, from which ye shall have satisfaction.
74 إِنَّ ٱلْمُجْرِمِينَ فِى عَذَابِ جَهَنَّمَ خَٰلِدُونَ ইন্নাল মুজরিমীনা ফী ‘আযা-বি জাহান্নামা খা-লিদূন।
নিশ্চয় অপরাধীরা জাহান্নামের আযাবে চিরকাল থাকবে। The sinners will be in the Punishment of Hell, to dwell therein (for aye):
75 لَا يُفَتَّرُ عَنْهُمْ وَهُمْ فِيهِ مُبْلِسُونَ লা-ইউফাত্তারু ‘আনহুম ওয়া হুম ফীহি মুবলিছূন।
তাদের থেকে আযাব লাঘব করা হবে না এবং তারা তাতেই থাকবে হতাশ হয়ে। Nowise will the (Punishment) be lightened for them, and in despair will they be there overwhelmed.
76 وَمَا ظَلَمْنَٰهُمْ وَلَٰكِن كَانُوا۟ هُمُ ٱلظَّٰلِمِينَ ওয়ামা-জালামনা-হুম ওয়ালা-কিন কা-নূহুমুজ্জা-লিমীন।
আমি তাদের প্রতি জুলুম করিনি; কিন্তু তারাই ছিল জালেম। Nowise shall We be unjust to them: but it is they who have been unjust themselves.
77 وَنَادَوْا۟ يَٰمَٰلِكُ لِيَقْضِ عَلَيْنَا رَبُّكَ قَالَ إِنَّكُم مَّٰكِثُونَ ওয়ানা-দাও ইয়া-মা-লিকুলিইয়াকদি ‘আলাইনা-রাব্বুকা কা-লা ইন্নাকুম মা-কিছূন।
তারা ডেকে বলবে, হে মালেক, পালনকর্তা আমাদের কিসসাই শেষ করে দিন। সে বলবে, নিশ্চয় তোমরা চিরকাল থাকবে। They will cry: "O Malik! would that thy Lord put an end to us!" He will say, "Nay, but ye shall abide!"
78 لَقَدْ جِئْنَٰكُم بِٱلْحَقِّ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَكُمْ لِلْحَقِّ كَٰرِهُونَ লাকাদ জি’না-কুম বিল হাক্কিওয়ালা-কিন্না আকছারাকুম লিলহাক্কিকা-রিহূন।
আমি তোমাদের কাছে সত্যধর্ম পৌঁছিয়েছি; কিন্তু তোমাদের অধিকাংশই সত্যধর্মে নিস্পৃহ! Verily We have brought the Truth to you: but most of you have a hatred for Truth.
79 أَمْ أَبْرَمُوٓا۟ أَمْرًا فَإِنَّا مُبْرِمُونَ আম আবরামূআমরান ফাইন্না মুবরিমুন।
তারা কি কোন ব্যবস্থা চুড়ান্ত করেছে? তাহলে আমিও এক ব্যবস্থা চুড়ান্ত করেছি। What! have they settled some plan (among themselves)? But it is We Who settle things.
80 أَمْ يَحْسَبُونَ أَنَّا لَا نَسْمَعُ سِرَّهُمْ وَنَجْوَىٰهُم بَلَىٰ وَرُسُلُنَا لَدَيْهِمْ يَكْتُبُونَ আম ইয়াহছাবূনা আন্না-লা-নাছমা‘উ ছির রাহুম ওয়া নাজওয়া-হুম বালা-ওয়া রুছুলুনালাদাইহিম ইয়াকতুবূন।
তারা কি মনে করে যে, আমি তাদের গোপন বিষয় ও গোপন পরামর্শ শুনি না? হঁ্যা, শুনি। আমার ফেরেশতাগণ তাদের নিকটে থেকে লিপিবদ্ধ করে। Or do they think that We hear not their secrets and their private counsels? Indeed (We do), and Our messengers are by them, to record.
81 قُلْ إِن كَانَ لِلرَّحْمَٰنِ وَلَدٌ فَأَنَا۠ أَوَّلُ ٱلْعَٰبِدِينَ কুল ইন কা-না লিররাহমা-নি ওয়ালাদুন ফাআনা-আওওয়ালুল ‘আ-বিদীন।
বলুন, দয়াময় আল্লাহর কোন সন্তান থাকলে আমি সর্ব প্রথম তার এবাদত করব। Say: "If (Allah) Most Gracious had a son, I would be the first to worship."
82 سُبْحَٰنَ رَبِّ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ رَبِّ ٱلْعَرْشِ عَمَّا يَصِفُونَ ছুবহা-না রাব্বিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিরাব্বিল ‘আরশি ‘আম্মা-ইয়াসিফূন।
তারা যা বর্ণনা করে, তা থেকে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের পালনকর্তা, আরশের পালনকর্তা পবিত্র। Glory to the Lord of the heavens and the earth, the Lord of the Throne (of Authority)! (He is free) from the things they attribute (to him)!
83 فَذَرْهُمْ يَخُوضُوا۟ وَيَلْعَبُوا۟ حَتَّىٰ يُلَٰقُوا۟ يَوْمَهُمُ ٱلَّذِى يُوعَدُونَ ফাযারহুম ইয়াখূদূওয়া ইয়াল‘আবূহাত্তা-ইউলা-কূইয়াওমা হুমুল্লাযী ইঊ‘আদূন।
অতএব, তাদেরকে বাকচাতুরী ও ক্রীড়া-কৌতুক করতে দিন সেই দিবসের সাক্ষাত পর্যন্ত, যার ওয়াদা তাদেরকে দেয়া হয়। So leave them to babble and play (with vanities) until they meet that Day of theirs, which they have been promised.
84 وَهُوَ ٱلَّذِى فِى ٱلسَّمَآءِ إِلَٰهٌ وَفِى ٱلْأَرْضِ إِلَٰهٌ وَهُوَ ٱلْحَكِيمُ ٱلْعَلِيمُ ওয়া হুওয়াল্লাযী ফিছ ছামাই ইলা-হুওঁ ওয়া ফিল আরদিইলা-হুওঁ ওয়া হুওয়াল হাকীমুল ‘আলীম।
তিনিই উপাস্য নভোমন্ডলে এবং তিনিই উপাস্য ভুমন্ডলে। তিনি প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ, It is He Who is Allah in heaven and Allah on earth; and He is full of Wisdom and Knowledge.
85 وَتَبَارَكَ ٱلَّذِى لَهُۥ مُلْكُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا وَعِندَهُۥ عِلْمُ ٱلسَّاعَةِ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ ওয়া তাবা-রাকাল্লাযী লাহূমুলকুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিওয়ামা-বাইনাহুমা- ওয়া ‘ইনদাহূ‘ইল মুছ ছা-‘আতি ওয়া ইলাইহি তুর জা‘ঊন।
বরকতময় তিনিই, নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু যার। তাঁরই কাছে আছে কেয়ামতের জ্ঞান এবং তাঁরই দিকে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে। And blessed is He to Whom belongs the dominion of the heavens and the earth, and all between them: with Him is the Knowledge of the Hour (of Judgment): and to Him shall ye be brought back.
86 وَلَا يَمْلِكُ ٱلَّذِينَ يَدْعُونَ مِن دُونِهِ ٱلشَّفَٰعَةَ إِلَّا مَن شَهِدَ بِٱلْحَقِّ وَهُمْ يَعْلَمُونَ ওয়ালা-ইয়ামলিকুল্লাযীনা ইয়াদ‘ঊনা মিন দূনিহিশশাফা-‘আতা ইল্লা-মান শাহিদা বিলহাক্কি ওয়া হুম ইয়া‘লামূন
তিনি ব্যতীত তারা যাদের পুজা করে, তারা সুপারিশের অধিকারী হবে না, তবে যারা সত্য স্বীকার করত ও বিশ্বাস করত। And those whom they invoke besides Allah have no power of intercession;- only he who bears witness to the Truth, and they know (him).
87 وَلَئِن سَأَلْتَهُم مَّنْ خَلَقَهُمْ لَيَقُولُنَّ ٱللَّهُ فَأَنَّىٰ يُؤْفَكُونَ ওয়া লায়িন ছাআলতাহুম মান খালাকাহুম লা ইয়াকূলুন্নাল্লা-হু ফাআন্না-ইউ’ফাকূন।
যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন, কে তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, তবে অবশ্যই তারা বলবে, আল্লাহ, অতঃপর তারা কোথায় ফিরে যাচ্ছে ? If thou ask them, who created them, they will certainly say, Allah: How then are they deluded away (from the Truth)?
88 وَقِيلِهِۦ يَٰرَبِّ إِنَّ هَٰٓؤُلَآءِ قَوْمٌ لَّا يُؤْمِنُونَ ওয়া কীলিহী ইয়া-রাব্বি ইন্না হাউলাই কাওমুল লা-ইউ’মিনূন।
রসূলের এই উক্তির কসম, হে আমার পালনকর্তা, এ সম্প্রদায় তো বিশ্বাস স্থাপন করে না। (Allah has knowledge) of the (Prophet's) cry, "O my Lord! Truly these are people who will not believe!"
89 فَٱصْفَحْ عَنْهُمْ وَقُلْ سَلَٰمٌ فَسَوْفَ يَعْلَمُونَ ফাসফাহ‘আনহুম ওয়া কুল ছালা-মুন ফাছাওফা ইয়া‘লামূন।
অতএব, আপনি তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিন এবং বলুন, ‘সালাম’। তারা শীঘ্রই জানতে পারবে। But turn away from them, and say "Peace!" But soon shall they know!

$ok={Accept !} $days={365}

Our website uses cookies to improve your experience. Learn more
Accept !