SI |
AYAT & ORTHO |
UCCHARON & ENGLISH MEANING |
1 |
يَسْـَٔلُونَكَ عَنِ ٱلْأَنفَالِ قُلِ ٱلْأَنفَالُ لِلَّهِ وَٱلرَّسُولِ فَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَأَصْلِحُوا۟ ذَاتَ بَيْنِكُمْ وَأَطِيعُوا۟ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥٓ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ |
ইয়াছআলূনাকা ‘আনিল আনফা-লি কুল্লি আনফা-লুলিল্লা-হি ওয়াররাছূলি ফাত্তাকুল্লা-হা ওয়া আসলিহূযা-তা বাইনিকুম ওয়া আতী‘উল্লা-হা ওয়া রাছূলাহূইন কুনতুম মু’মিনীন। |
|
আপনার কাছে জিজ্ঞেস করে, গনীমতের হুকুম। বলে দিন, গণীমতের মাল হল আল্লাহর এবং রসূলের। অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং নিজেদের অবস্থা সংশোধন করে নাও। আর আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের হুকুম মান্য কর, যদি ঈমানদার হয়ে থাক। |
They ask thee concerning (things taken as) spoils of war. Say: "(such) spoils are at the disposal of Allah and the Messenger: So fear Allah, and keep straight the relations between yourselves: Obey Allah and His Messenger, if ye do believe; |
2 |
إِنَّمَا ٱلْمُؤْمِنُونَ ٱلَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ ٱللَّهُ وَجِلَتْ قُلُوبُهُمْ وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ ءَايَٰتُهُۥ زَادَتْهُمْ إِيمَٰنًا وَعَلَىٰ رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ |
ইন্নামাল মু’মিনূনাল্লাযীনা ইযা-যুকিরাল্লা-হুওয়াজিলাতকুলূবুহুম ওয়া ইযা-তুলিয়াত ‘আলাইহিম আ-ইয়া-তুহূঝা-দাতহুম ঈমা-নাওঁ ওয়া ‘আলা-রাব্বিহিম ইয়াতাওয়াক্কালূন। |
|
যারা ঈমানদার, তারা এমন যে, যখন আল্লাহর নাম নেয়া হয় তখন ভীত হয়ে পড়ে তাদের অন্তর। আর যখন তাদের সামনে পাঠ করা হয় কালাম, তখন তাদের ঈমান বেড়ে যায় এবং তারা স্বীয় পরওয়ার দেগারের প্রতি ভরসা পোষণ করে। |
For, Believers are those who, when Allah is mentioned, feel a tremor in their hearts, and when they hear His signs rehearsed, find their faith strengthened, and put (all) their trust in their Lord; |
3 |
ٱلَّذِينَ يُقِيمُونَ ٱلصَّلَوٰةَ وَمِمَّا رَزَقْنَٰهُمْ يُنفِقُونَ |
আল্লাযীনা ইউকীমূনাসসালা-তা ওয়া মিম্মা-রাঝাকনা-হুম ইউনফিকূ ন। |
|
সে সমস্ত লোক যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে এবং আমি তাদেরকে যে রুযী দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে। |
Who establish regular prayers and spend (freely) out of the gifts We have given them for sustenance: |
4 |
أُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْمُؤْمِنُونَ حَقًّا لَّهُمْ دَرَجَٰتٌ عِندَ رَبِّهِمْ وَمَغْفِرَةٌ وَرِزْقٌ كَرِيمٌ |
উলাইকা হুমুল মু’মিনূনা হাক্কান লাহুম দারাজা-তুন ‘ইনদা রাব্বিহিম ওয়া মাগফিরাতুওঁ ওয়া রিঝকুন কারীম। |
|
তারাই হল সত্যিকার ঈমানদার! তাদের জন্য রয়েছে স্বীয় পরওয়ারদেগারের নিকট মর্যাদা, ক্ষমা এবং সম্মানজনক রুযী। |
Such in truth are the believers: they have grades of dignity with their Lord, and forgiveness, and generous sustenance: |
5 |
كَمَآ أَخْرَجَكَ رَبُّكَ مِنۢ بَيْتِكَ بِٱلْحَقِّ وَإِنَّ فَرِيقًا مِّنَ ٱلْمُؤْمِنِينَ لَكَٰرِهُونَ |
কামাআখরাজাকা রাব্বুকা মিম বাইতিকা বিলহাক্কি ওয়া ইন্না ফারীকাম মিনাল মু’মিনীনা লাকা-রিহূন। |
|
যেমন করে তোমাকে তোমার পরওয়ারদেগার ঘর থেকে বের করেছেন ন্যায় ও সৎকাজের জন্য, অথচ ঈমানদারদের একটি দল (তাতে) সম্মত ছিল না। |
Just as thy Lord ordered thee out of thy house in truth, even though a party among the Believers disliked it, |
6 |
يُجَادِلُونَكَ فِي الْحَقِّ بَعْدَمَا تَبَيَّنَ كَأَنَّمَا يُسَاقُونَ إِلَى الْمَوْتِ وَهُمْ يَنْظُرُونَ |
ইউজা-দিলূনাকা ফিল হাক্কি বা‘দা মা-তাবাইইয়ানা কাআন্নামা-ইউছা-কূনা ইলাল মাওতি ওয়া হুম ইয়ানজু রুন। |
|
তারা তোমার সাথে বিবাদ করছিল সত্য ও ন্যায় বিষয়ে, তা প্রকাশিত হবার পর; তারা যেন মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে দেখতে দেখতে। |
Disputing with thee concerning the truth after it was made manifest, as if they were being driven to death and they (actually) saw it. |
7 |
وَإِذْ يَعِدُكُمُ ٱللَّهُ إِحْدَى ٱلطَّآئِفَتَيْنِ أَنَّهَا لَكُمْ وَتَوَدُّونَ أَنَّ غَيْرَ ذَاتِ ٱلشَّوْكَةِ تَكُونُ لَكُمْ وَيُرِيدُ ٱللَّهُ أَن يُحِقَّ ٱلْحَقَّ بِكَلِمَٰتِهِۦ وَيَقْطَعَ دَابِرَ ٱلْكَٰفِرِينَ |
ওয়া ইয ইয়া‘ইদুকুমুল্লা-হুইহদাততাইফাতাইনি আন্নাহা-লাকুম ওয়া তাওয়াদ্দূনা আন্না গাইরা যা-তিশশাওকাতি তাকূনুলাকুম ওয়া ইউরীদুল্লা-হুআইঁ ইউহিক্কাল হাক্কা বিকালিমাতিহী ওয়া ইয়াকতা‘আ দা-বিরাল কা-ফিরীন। |
|
আর যখন আল্লাহ দু’টি দলের একটির ব্যাপারে তোমাদের সাথে ওয়াদা করেছিলেন যে, সেটি তোমাদের হস্তগত হবে, আর তোমরা কামনা করছিলে যাতে কোন রকম কন্টক নেই, তাই তোমাদের ভাগে আসুক; অথচ আল্লাহ চাইতেন সত্যকে স্বীয় কালামের মাধ্যমে সত্যে পরিণত করতে এবং কাফেরদের মূল কর্তন করে দিতে, |
Behold! Allah promised you one of the two (enemy) parties, that it should be yours: Ye wished that the one unarmed should be yours, but Allah willed to justify the Truth according to His words and to cut off the roots of the Unbelievers;- |
8 |
لِيُحِقَّ ٱلْحَقَّ وَيُبْطِلَ ٱلْبَٰطِلَ وَلَوْ كَرِهَ ٱلْمُجْرِمُونَ |
লিইউহিক্কাল হাক্কা ওয়া ইউবতিলাল বা-তিলা ওয়া লাও কারিহাল মুজরিমূন। |
|
যাতে করে সত্যকে সত্য এবং মিথ্যাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে দেন, যদিও পাপীরা অসন্তুষ্ট হয়। |
That He might justify Truth and prove Falsehood false, distasteful though it be to those in guilt. |
9 |
إِذْ تَسْتَغِيثُونَ رَبَّكُمْ فَٱسْتَجَابَ لَكُمْ أَنِّى مُمِدُّكُم بِأَلْفٍ مِّنَ ٱلْمَلَٰٓئِكَةِ مُرْدِفِينَ |
ইয তাছতাগীছূনা রাব্বাকুমফাছতাজা-বা লাকুমআন্নীমুমিদ্দুকুম বিআলফিম মিনাল মালাইকাতি মুরদিফীন। |
|
তোমরা যখন ফরিয়াদ করতে আরম্ভ করেছিলে স্বীয় পরওয়ারদেগারের নিকট, তখন তিনি তোমাদের ফরিয়াদের মঞ্জুরী দান করলেন যে, আমি তোমাদিগকে সাহায্য করব ধারাবহিকভাবে আগত হাজার ফেরেশতার মাধ্যমে। |
Remember ye implored the assistance of your Lord, and He answered you: "I will assist you with a thousand of the angels, ranks on ranks." |
10 |
وَمَا جَعَلَهُ ٱللَّهُ إِلَّا بُشْرَىٰ وَلِتَطْمَئِنَّ بِهِۦ قُلُوبُكُمْ وَمَا ٱلنَّصْرُ إِلَّا مِنْ عِندِ ٱللَّهِ إِنَّ ٱللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ |
ওয়ামা-জা‘আলাহুল্লা-হু ইল্লা-বুশরা-ওয়া লিতাতমাইন্না বিহী কুলূবুকুম ওয়া মান নাসরু ইল্লা-মিন ‘ইনদিল্লা-হি ইন্নাল্লা-হা ‘আঝীঝুন হাকীম। |
|
আর আল্লাহ তো শুধু সুসংবাদ দান করলেন যাতে তোমাদের মন আশ্বস্ত হতে পারে। আর সাহায্য আল্লাহর পক্ষ থেকে ছাড়া অন্য কারো পক্ষ থেকে হতে পারে না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ মহাশক্তির অধিকারী হেকমত ওয়ালা। |
Allah made it but a message of hope, and an assurance to your hearts: (in any case) there is no help except from Allah: and Allah is Exalted in Power, Wise. |
11 |
إِذْ يُغَشِّيكُمُ ٱلنُّعَاسَ أَمَنَةً مِّنْهُ وَيُنَزِّلُ عَلَيْكُم مِّنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءً لِّيُطَهِّرَكُم بِهِۦ وَيُذْهِبَ عَنكُمْ رِجْزَ ٱلشَّيْطَٰنِ وَلِيَرْبِطَ عَلَىٰ قُلُوبِكُمْ وَيُثَبِّتَ بِهِ ٱلْأَقْدَامَ |
ইয ইউগাশশীকুমুননু‘আ-ছা আমানাতাম মিনহু ওয়া ইউনাঝঝিলু‘আলাইকুম মিনাছছামাই মাআল লিইউতাহহিরাকুম বিহী ওয়া ইউযহিবা ‘আনকুম রিজঝাশশাইতা-নি ওয়া লিইয়ারবিতা ‘আলা-কুলূবিকুম ওয়া ইউছাব্বিতা বিহিল আকাদা-ম। |
|
যখন তিনি আরোপ করেন তোমাদের উপর তন্দ্রাচ্ছন্ন তা নিজের পক্ষ থেকে তোমাদের প্রশান্তির জন্য এবং তোমাদের উপর আকাশ থেকে পানি অবতরণ করেন, যাতে তোমাদিগকে পবিত্র করে দেন এবং যাতে তোমাদের থেকে অপসারিত করে দেন শয়তানের অপবিত্রতা। আর যাতে করে সুরক্ষিত করে দিতে পারেন তোমাদের অন্তরসমূহকে এবং তাতে যেন সুদৃঢ় করে দিতে পারেন তোমাদের পা গুলো। |
Remember He covered you with a sort of drowsiness, to give you calm as from Himself, and he caused rain to descend on you from heaven, to clean you therewith, to remove from you the stain of Satan, to strengthen your hearts, and to plant your feet firmly therewith. |
12 |
إِذْ يُوحِى رَبُّكَ إِلَى ٱلْمَلَٰٓئِكَةِ أَنِّى مَعَكُمْ فَثَبِّتُوا۟ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ سَأُلْقِى فِى قُلُوبِ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ ٱلرُّعْبَ فَٱضْرِبُوا۟ فَوْقَ ٱلْأَعْنَاقِ وَٱضْرِبُوا۟ مِنْهُمْ كُلَّ بَنَانٍ |
ইযইঊহী রাব্বুকা ইলাল মালাইকাতি আন্নী মা‘আকুম ফাছাব্বিতুল্লাযীনা আ-মানূ ছাউলকী ফী কুলূবিল্লাযীনা কাফারূররু‘বা ফাদরিবূফাওকাল আ‘না-কিওয়াদরিবূমিনহুম কুল্লা বানা-ন। |
|
যখন নির্দেশ দান করেন ফেরেশতাদিগকে তোমাদের পরওয়ারদেগার যে, আমি সাথে রয়েছি তোমাদের, সুতরাং তোমরা মুসলমানদের চিত্তসমূহকে ধীরস্থির করে রাখ। আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব। কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট জোড়ায় জোড়ায়। |
Remember thy Lord inspired the angels (with the message): "I am with you: give firmness to the Believers: I will instil terror into the hearts of the Unbelievers: smite ye above their necks and smite all their finger-tips off them." |
13 |
ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ شَآقُّوا۟ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ وَمَن يُشَاقِقِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ فَإِنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلْعِقَابِ |
যা-লিকা বিআন্নাহুম শাককুল্লা-হা ওয়া রাছূলাহূ ওয়া মাইঁ ইউশাকিকিল্লা-হা ওয়া রাছূলাহূফাইন্নাল্লা-হা শাদীদুল ‘ইকা-ব। |
|
যেহেতু তারা অবাধ্য হয়েছে আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের, সেজন্য এই নির্দেশ। বস্তুতঃ যে লোক আল্লাহ ও রসূলের অবাধ্য হয়, নিঃসন্দেহে আল্লাহর শাস্তি অত্যন্ত কঠোর। |
This because they contended against Allah and His Messenger: If any contend against Allah and His Messenger, Allah is strict in punishment. |
14 |
ذَٰلِكُمْ فَذُوقُوهُ وَأَنَّ لِلْكَٰفِرِينَ عَذَابَ ٱلنَّارِ |
যা-লিকুম ফাযূকূহু ওয়া আন্না লিলকা-ফিরীনা ‘আযা-বান্না-র। |
|
আপাততঃ বর্তমান এ শাস্তি তোমরা আস্বাদন করে নাও এবং জেনে রাখ যে, কাফেরদের জন্য রয়েছে দোযখের আযাব। |
Thus (will it be said): "Taste ye then of the (punishment): for those who resist Allah, is the penalty of the Fire." |
15 |
وَمَن يُوَلِّهِمْ يَوْمَئِذٍ دُبُرَهُۥٓ إِلَّا مُتَحَرِّفًا لِّقِتَالٍ أَوْ مُتَحَيِّزًا إِلَىٰ فِئَةٍ فَقَدْ بَآءَ بِغَضَبٍ مِّنَ ٱللَّهِ وَمَأْوَىٰهُ جَهَنَّمُ وَبِئْسَ ٱلْمَصِيرُ |
ইয়া আইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূ-ইযা- লাকীতুমুল্লাযীনা কাফারূ ঝাহফান ফালাতুওয়াল্লুহুমুল আদবা-র। |
|
হে ঈমানদারগণ, তোমরা যখন কাফেরদের সাথে মুখোমুখী হবে, তখন পশ্চাদপসরণ করবে না। |
O ye who believe! when ye meet the Unbelievers in hostile array, never turn your backs to them. |
16 |
وَمَن يُوَلِّهِمْ يَوْمَئِذٍ دُبُرَهُۥٓ إِلَّا مُتَحَرِّفًا لِّقِتَالٍ أَوْ مُتَحَيِّزًا إِلَىٰ فِئَةٍ فَقَدْ بَآءَ بِغَضَبٍ مِّنَ ٱللَّهِ وَمَأْوَىٰهُ جَهَنَّمُ وَبِئْسَ ٱلْمَصِيرُ |
ওয়া মাইঁ ইউওয়ালিলহিম ইয়াওমায়িযিন দুবুরাহূইল্লা-মুতাহাররিফাল লিকিতা-লিন আও মুতাহাইয়িঝান ইলা-ফিআতিন ফাকাদ বাআ বিগাদাবিম মিনাল্লা-হি ওয়া মা’ওয়া-হু জাহান্নামু ওয়াবি’ছাল মাসীর। |
|
আর যে লোক সেদিন তাদের থেকে পশ্চাদপসরণ করবে, অবশ্য যে লড়াইয়ের কৌশল পরিবর্তনকল্পে কিংবা যে নিজ সৈন্যদের নিকট আশ্রয় নিতে আসে সে ব্যতীত অন্যরা আল্লাহর গযব সাথে নিয়ে প্রত্যাবর্তন করবে। আর তার ঠিকানা হল জাহান্নাম। বস্তুতঃ সেটা হল নিকৃষ্ট অবস্থান। |
If any do turn his back to them on such a day - unless it be in a stratagem of war, or to retreat to a troop (of his own)- he draws on himself the wrath of Allah, and his abode is Hell,- an evil refuge (indeed)! |
17 |
فَلَمْ تَقْتُلُوهُمْ وَلَٰكِنَّ ٱللَّهَ قَتَلَهُمْ وَمَا رَمَيْتَ إِذْ رَمَيْتَ وَلَٰكِنَّ ٱللَّهَ رَمَىٰ وَلِيُبْلِىَ ٱلْمُؤْمِنِينَ مِنْهُ بَلَآءً حَسَنًا إِنَّ ٱللَّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٌ |
ফালাম তাকতুলূহুম ওয়ালা-কিন্নাল্লা-হা কাতালাহুম ওয়ামা-রামাইতা ইযরামাইতা ওয়ালা-কিন্নাল্লা-হা রামা- ওয়ালি ইউবলিয়াল মু’মিনীনা মিনহু বালাআন হাছানান ইন্নাল্লা-হা ছামী‘উন আলীম। |
|
সুতরাং তোমরা তাদেরকে হত্যা করনি, বরং আল্লাহই তাদেরকে হত্যা করেছেন। আর তুমি মাটির মুষ্ঠি নিক্ষেপ করনি, যখন তা নিক্ষেপ করেছিলে, বরং তা নিক্ষেপ করেছিলেন আল্লাহ স্বয়ং যেন ঈমানদারদের প্রতি এহসান করতে পারেন যথার্থভাবে। নিঃসন্দেহে আল্লাহ শ্রবণকারী; পরিজ্ঞাত। |
It is not ye who slew them; it was Allah: when thou threwest (a handful of dust), it was not thy act, but Allah's: in order that He might test the Believers by a gracious trial from Himself: for Allah is He Who heareth and knoweth (all things). |
18 |
ذَٰلِكُمْ وَأَنَّ ٱللَّهَ مُوهِنُ كَيْدِ ٱلْكَٰفِرِينَ |
যা-লিকুম ওয়াআন্নাল্লা-হা মূহিনুকাইদিল কা-ফিরীন। |
|
এটাতো গেল, আর জেনে রেখো, আল্লাহ নস্যাৎ করে দেবেন কাফেরদের সমস্ত কলা-কৌশল। |
That, and also because Allah is He Who makes feeble the plans and stratagem of the Unbelievers. |
19 |
إِن تَسْتَفْتِحُوا۟ فَقَدْ جَآءَكُمُ ٱلْفَتْحُ وَإِن تَنتَهُوا۟ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ وَإِن تَعُودُوا۟ نَعُدْ وَلَن تُغْنِىَ عَنكُمْ فِئَتُكُمْ شَيْـًٔا وَلَوْ كَثُرَتْ وَأَنَّ ٱللَّهَ مَعَ ٱلْمُؤْمِنِينَ |
ইন তাছতাফতিহূফাকাদ জাআকুমুল ফাতহু ওয়া ইন তানতাহূফাহুওয়া খাইরুল্লাকুম ওয়া ইন তা‘ঊদূনা‘উদ ওয়া লান তুগনিয়া ‘আনকুম ফিআতুকুম শাইআওঁ ওয়ালাও কাছুরাত ওয়া আন্নাল্লা-হা মা‘আল মু’মিনীন। |
|
তোমরা যদি মীমাংসা কামনা কর, তাহলে তোমাদের নিকট মীমাংসা পৌছে গেছে। আর যদি তোমরা প্রত্যাবর্তন কর, তবে তা তোমাদের জন্য উত্তম এবং তোমরা যদি তাই কর, তবে আমি ও তেমনি করব। বস্তুতঃ তোমাদের কোনই কাজে আসবে না তোমাদের দল-বল, তা যত বেশীই হোক। জেনে রেখ আল্লাহ রয়েছেন ঈমানদারদের সাথে। |
(O Unbelievers!) if ye prayed for victory and judgment, now hath the judgment come to you: if ye desist (from wrong), it will be best for you: if ye return (to the attack), so shall We. Not the least good will your forces be to you even if they were multiplied: for verily Allah is with those who believe! |
20 |
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ أَطِيعُوا۟ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ وَلَا تَوَلَّوْا۟ عَنْهُ وَأَنتُمْ تَسْمَعُونَ |
ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূআতী‘উল্লা-হা ওয়া রাছূলাহূওয়ালা-তাওয়াল্লাও ‘আনহু ওয়া আনতুম তাছমা‘ঊন। |
|
হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ মান্য কর এবং শোনার পর তা থেকে বিমুখ হয়ো না। |
O ye who believe! Obey Allah and His Messenger, and turn not away from him when ye hear (him speak). |
21 |
وَلَا تَكُونُوا۟ كَٱلَّذِينَ قَالُوا۟ سَمِعْنَا وَهُمْ لَا يَسْمَعُونَ |
ওয়ালা-তাকূনূকাল্লাযীনা কা-লূছামি‘না-ওয়া হুম লা-ইয়াছমা‘ঊন। |
|
আর তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না, যারা বলে যে, আমরা শুনেছি, অথচ তারা শোনেনা। |
Nor be like those who say, "We hear," but listen not: |
22 |
إِنَّ شَرَّ ٱلدَّوَآبِّ عِندَ ٱللَّهِ ٱلصُّمُّ ٱلْبُكْمُ ٱلَّذِينَ لَا يَعْقِلُونَ |
ইন্না শাররাদ্দাওয়াব্বি ‘ইনদাল্লা-হিসসুম্মুল বুকমুল্লাযীনা লা-ইয়া‘কিলূন। |
|
নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলার নিকট সমস্ত প্রাণীর তুলনায় তারাই মূক ও বধির, যারা উপলদ্ধি করে না। |
For the worst of beasts in the sight of Allah are the deaf and the dumb,- those who understand not. |
23 |
وَلَوْ عَلِمَ ٱللَّهُ فِيهِمْ خَيْرًا لَّأَسْمَعَهُمْ وَلَوْ أَسْمَعَهُمْ لَتَوَلَّوا۟ وَّهُم مُّعْرِضُونَ |
ওয়া লাও ‘আলিমাল্লা-হু ফীহিম খাইরাল লাআছমা‘আহুম ওয়া লাও আছমা‘আহুম লাতাওয়াল্লাওঁ ওয়া হুম মু‘রিদূন। |
|
বস্তুতঃ আল্লাহ যদি তাদের মধ্যে কিছুমাত্র শুভ চিন্তা জানতেন, তবে তাদেরকে শুনিয়ে দিতেন। আর এখনই যদি তাদের শুনিয়ে দেন, তবে তারা মুখ ঘুরিয়ে পালিয়ে যাবে। |
If Allah had found in them any good. He would indeed have made them listen: (As it is), if He had made them listen, they would but have turned back and declined (Faith). |
24 |
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ٱسْتَجِيبُوا۟ لِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ إِذَا دَعَاكُمْ لِمَا يُحْيِيكُمْ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ يَحُولُ بَيْنَ ٱلْمَرْءِ وَقَلْبِهِۦ وَأَنَّهُۥٓ إِلَيْهِ تُحْشَرُونَ |
ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানুছতাজীবূলিল্লা-হি ওয়ালিররাছূলি ইযা-দা‘আ-কুম লিমাইউহয়ীকুম ওয়া‘লামূআন্নাল্লা-হা ইয়াহূলুবাইনাল মারয়ি ওয়া কালবিহী ওয়া আন্নাহূইলাইহি তুহশারূন। |
|
হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ মান্য কর, যখন তোমাদের সে কাজের প্রতি আহবান করা হয়, যাতে রয়েছে তোমাদের জীবন। জেনে রেখো, আল্লাহ মানুষের এবং তার অন্তরের মাঝে অন্তরায় হয়ে যান। বস্তুতঃ তোমরা সবাই তাঁরই নিকট সমবেত হবে। |
O ye who believe! give your response to Allah and His Messenger, when He calleth you to that which will give you life; and know that Allah cometh in between a man and his heart, and that it is He to Whom ye shall (all) be gathered. |
25 |
وَٱتَّقُوا۟ فِتْنَةً لَّا تُصِيبَنَّ ٱلَّذِينَ ظَلَمُوا۟ مِنكُمْ خَآصَّةً وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلْعِقَابِ |
ওয়াত্তাকূফিতনাতাল লা-তুসীবান্নাল্লাযীনা জালামূমিনকুম খাসসাতাওঁ ওয়া‘লামূআন্নাল্লা-হা শাদীদুল ‘ইকা-ব। |
|
আর তোমরা এমন ফাসাদ থেকে বেঁচে থাক যা বিশেষতঃ শুধু তাদের উপর পতিত হবে না যারা তোমাদের মধ্যে জালেম এবং জেনে রেখ যে, আল্লাহর আযাব অত্যন্ত কঠোর। |
And fear tumult or oppression, which affecteth not in particular (only) those of you who do wrong: and know that Allah is strict in punishment. |
26 |
وَٱذْكُرُوٓا۟ إِذْ أَنتُمْ قَلِيلٌ مُّسْتَضْعَفُونَ فِى ٱلْأَرْضِ تَخَافُونَ أَن يَتَخَطَّفَكُمُ ٱلنَّاسُ فَـَٔاوَىٰكُمْ وَأَيَّدَكُم بِنَصْرِهِۦ وَرَزَقَكُم مِّنَ ٱلطَّيِّبَٰتِ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ |
ওয়াযকুরূ ইয আনতুমকালীলুমমুছতাদ‘আফূনা ফিল আরদি তাখা-ফূনা আইঁ ইয়াতাখাত্তাফাকুমুন্না-ছুফাআ-ওয়া কুম ওয়া আইইয়াদাকুম বিনাসরিহী ওয়া রাঝাকাকুম মিনাততাইয়িবা-তি লা‘আল্লাকুম তাশকুরূন। |
|
আর স্মরণ কর, যখন তোমরা ছিলে অল্প, পরাজিত অবস্থায় পড়েছিলে দেশে; ভীত-সস্ত্রস্ত্র ছিলে যে, তোমাদের না অন্যেরা ছোঁ মেরে নিয়ে যায়। অতঃপর তিনি তোমাদিগকে আশ্রয়ের ঠিকানা দিয়েছেন, স্বীয় সাহায্যের দ্বারা তোমাদিগকে শক্তি দান করেছেন এবং পরিচ্ছন্ন জীবিকা দিয়েছেন যাতে তোমরা শুকরিয়া আদায় কর। |
Call to mind when ye were a small (band), despised through the land, and afraid that men might despoil and kidnap you; But He provided a safe asylum for you, strengthened you with His aid, and gave you Good things for sustenance: that ye might be grateful. |
27 |
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَا تَخُونُوا۟ ٱللَّهَ وَٱلرَّسُولَ وَتَخُونُوٓا۟ أَمَٰنَٰتِكُمْ وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ |
ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূলা-তাখূনুল্লা -হা ওয়ার রাছূলা ওয়া তাখূনূআমা-না-তিকুম ওয়া আনতুম তা‘লামুন। |
|
হে ঈমানদারগণ, খেয়ানত করোনা আল্লাহর সাথে ও রসূলের সাথে এবং খেয়ানত করো না নিজেদের পারস্পরিক আমানতে জেনে-শুনে। |
O ye that believe! betray not the trust of Allah and the Messenger, nor misappropriate knowingly things entrusted to you. |
28 |
وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّمَآ أَمْوَٰلُكُمْ وَأَوْلَٰدُكُمْ فِتْنَةٌ وَأَنَّ ٱللَّهَ عِندَهُۥٓ أَجْرٌ عَظِيمٌ |
ওয়া‘লামূআন্নামাআমওয়া-লুকুম ওয়া আওলা-দুকুম ফিতনাতুওঁ ওয়া আন্নাল্লা-হা ‘ইনদাহুআজরুন ‘আ জীম। |
|
আর জেনে রাখ, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি অকল্যাণের সম্মুখীনকারী। বস্তুতঃ আল্লাহর নিকট রয়েছে মহা সওয়াব। |
And know ye that your possessions and your progeny are but a trial; and that it is Allah with Whom lies your highest reward. |
29 |
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ إِن تَتَّقُوا۟ ٱللَّهَ يَجْعَل لَّكُمْ فُرْقَانًا وَيُكَفِّرْ عَنكُمْ سَيِّـَٔاتِكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ وَٱللَّهُ ذُو ٱلْفَضْلِ ٱلْعَظِيمِ |
ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূইন তাত্তাকুল্লা-হা ইয়াজ‘আল্লাকুম ফুরকা-নাওঁ ওয়া ইউকাফফির ‘আনকুম ছাইয়িআ-তিকুম ওয়া ইয়াগফির লাকুম ওয়াল্লা-হু যুল ফাদলিল ‘আজীম। |
|
হে ঈমানদারগণ তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় করতে থাক, তবে তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন এবং তোমাদের থেকে তোমাদের পাপকে সরিয়ে দেবেন এবং তোমাদের ক্ষমা করবেন। বস্তুতঃ আল্লাহর অনুগ্রহ অত্যন্ত মহান। |
O ye who believe! if ye fear Allah, He will grant you a criterion (to judge between right and wrong), remove from you (all) evil (that may afflict) you, and forgive you: for Allah is the Lord of grace unbounded. |
30 |
وَإِذْ يَمْكُرُ بِكَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ لِيُثْبِتُوكَ أَوْ يَقْتُلُوكَ أَوْ يُخْرِجُوكَ وَيَمْكُرُونَ وَيَمْكُرُ ٱللَّهُ وَٱللَّهُ خَيْرُ ٱلْمَٰكِرِينَ |
ওয়া ইযইয়ামকুরু বিকাল্লাযীনা কাফারূলিইউছবিতূকা আও ইয়াকতুলূকা আও ইউখরিজুকা ওয়া ইয়ামকুরূনা ওয়া ইয়ামকুরুল্লা-হু ওয়াল্লা-হু খাইরুল মা-কিরীন। |
|
আর কাফেরেরা যখন প্রতারণা করত আপনাকে বন্দী অথবা হত্যা করার উদ্দেশ্যে কিংবা আপনাকে বের করে দেয়ার জন্য তখন তারা যেমন ছলনা করত তেমনি, আল্লাহও ছলনা করতেন। বস্তুতঃ আল্লাহর ছলনা সবচেয়ে উত্তম। |
Remember how the Unbelievers plotted against thee, to keep thee in bonds, or slay thee, or get thee out (of thy home). They plot and plan, and Allah too plans; but the best of planners is Allah. |
31 |
وَإِذَا تُتْلَىٰ عَلَيْهِمْ ءَايَٰتُنَا قَالُوا۟ قَدْ سَمِعْنَا لَوْ نَشَآءُ لَقُلْنَا مِثْلَ هَٰذَآ إِنْ هَٰذَآ إِلَّآ أَسَٰطِيرُ ٱلْأَوَّلِينَ |
ওয়া ইযা-তুতলা-‘আলাইহিম আ-য়া-তুনা-কা-লূকাদ ছামি‘না-লাও নাশাউ লাকুলনামিছলা হা-যা ইন হা-যা ইল্লা আছা-তীরুল আওওয়ালীন। |
|
আর কেউ যখন তাদের নিকট আমার আয়াতসমূহ পাঠ করে তবে বলে, আমরা শুনেছি, ইচ্ছা করলে আমরাও এমন বলতে পারি; এ তো পূর্ববর্তী ইতিকথা ছাড়া আর কিছুই নয়। |
When Our Signs are rehearsed to them, they say: "We have heard this (before): if we wished, we could say (words) like these: these are nothing but tales of the ancients." |
32 |
وَإِذْ قَالُوا۟ ٱللَّهُمَّ إِن كَانَ هَٰذَا هُوَ ٱلْحَقَّ مِنْ عِندِكَ فَأَمْطِرْ عَلَيْنَا حِجَارَةً مِّنَ ٱلسَّمَآءِ أَوِ ٱئْتِنَا بِعَذَابٍ أَلِيمٍ |
ওয়া ইয কা-লুল্লা-হুম্মা ইন কা-না হা-যা-হুওয়াল হাক্কা মিন ‘ইনদিকা ফাআমতির ‘আলাইনা-হিজারাতাম মিনাছ ছামাই আবি’তিনা-বি‘আযা-বিন আলীম। |
|
তাছাড়া তারা যখন বলতে আরম্ভ করে যে, ইয়া আল্লাহ, এই যদি তোমার পক্ষ থেকে (আগত) সত্য দ্বীন হয়ে থাকে, তবে আমাদের উপর আকাশ থেকে প্রস্তর বর্ষণ কর কিংবা আমাদের উপর বেদনাদায়ক আযাব নাযিল কর। |
Remember how they said: "O Allah if this is indeed the Truth from Thee, rain down on us a shower of stones form the sky, or send us a grievous penalty." |
33 |
وَمَا كَانَ ٱللَّهُ لِيُعَذِّبَهُمْ وَأَنتَ فِيهِمْ وَمَا كَانَ ٱللَّهُ مُعَذِّبَهُمْ وَهُمْ يَسْتَغْفِرُونَ |
ওয়ামা-কা-নাল্লা-হু লিইউ‘আযযিবাহুম ওয়া আনতা ফীহিম ওয়ামা-কা-নাল্লা-হু মু‘আযযিবাহুম ওয়া হুম ইয়াছতাগফিরূন। |
|
অথচ আল্লাহ কখনই তাদের উপর আযাব নাযিল করবেন না যতক্ষণ আপনি তাদের মাঝে অবস্থান করবেন। তাছাড়া তারা যতক্ষণ ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবে আল্লাহ কখনও তাদের উপর আযাব দেবেন না। |
But Allah was not going to send them a penalty whilst thou wast amongst them; nor was He going to send it whilst they could ask for pardon. |
34 |
وَمَا لَهُمْ أَلَّا يُعَذِّبَهُمُ ٱللَّهُ وَهُمْ يَصُدُّونَ عَنِ ٱلْمَسْجِدِ ٱلْحَرَامِ وَمَا كَانُوٓا۟ أَوْلِيَآءَهُۥٓ إِنْ أَوْلِيَآؤُهُۥٓ إِلَّا ٱلْمُتَّقُونَ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَهُمْ لَا يَعْلَمُونَ |
ওয়ামা-লাহুম আল্লা-ইউ‘আযযিবাহুমুল্লা-হু ওয়া হুম ইয়াসুদ্দূনা ‘আনিল মাছজিদিল হারা-মি ওয়ামা-কা-নূআওলিয়াআউহূ ইন আওলিয়াউহূইল্লাল মুত্তাকূনা ওয়ালা-কিন্না আকছারাহুম লা-ইয়া‘লামূন। |
|
আর তাদের মধ্যে এমন কি বিষয় রয়েছে, যার ফলে আল্লাহ তাদের উপর আযাব দান করবেন না। অথচ তারা মসজিদে-হারামে যেতে বাধাদান করে, অথচ তাদের সে অধিকার নেই। এর অধিকার তো তাদেরই রয়েছে যারা পরহেযগার। কিন্তু তাদের অধিকাংশই সে বিষয়ে অবহিত নয়। |
But what plea have they that Allah should not punish them, when they keep out (men) from the sacred Mosque - and they are not its guardians? No men can be its guardians except the righteous; but most of them do not understand. |
35 |
وَمَا كَانَ صَلَاتُهُمْ عِندَ ٱلْبَيْتِ إِلَّا مُكَآءً وَتَصْدِيَةً فَذُوقُوا۟ ٱلْعَذَابَ بِمَا كُنتُمْ تَكْفُرُونَ |
ওয়ামা-কা-না সালা-তুহুম ‘ইনদাল বাইতি ইল্লা-মুকা-আওঁ ওয়া তাসদিয়াতান ফাযূকুল ‘আযা-বা বিমা-কুনতুম তাকফুরূন। |
|
আর কা’বার নিকট তাদের নামায বলতে শিস দেয়া আর তালি বাজানো ছাড়া অন্য কোন কিছুই ছিল না। অতএব, এবার নিজেদের কৃত কুফরীর আযাবের স্বাদ গ্রহণ কর। |
Their prayer at the House (of Allah) is nothing but whistling and clapping of hands: (Its only answer can be), "Taste ye the penalty because ye blasphemed." |
36 |
إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ يُنفِقُونَ أَمْوَٰلَهُمْ لِيَصُدُّوا۟ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِ فَسَيُنفِقُونَهَا ثُمَّ تَكُونُ عَلَيْهِمْ حَسْرَةً ثُمَّ يُغْلَبُونَ وَٱلَّذِينَ كَفَرُوٓا۟ إِلَىٰ جَهَنَّمَ يُحْشَرُونَ |
ইন্নাল্লাযীনা কাফারূইউনফিকূনা আমওয়া-লাহুম লিয়াসুদ্দূ‘আন ছাবীলিল্লা-হি ফাছাইউনফিকূনাহা-ছু ম্মা তাকূনু‘আলাইহিম হাছরাতান ছুম্মা ইউগলাবূনা ওয়াল্লাযীনা কাফারূইলা-জাহান্নামা ইউহশারূন। |
|
নিঃসন্দেহে যেসব লোক কাফের, তারা ব্যয় করে নিজেদের ধন-সম্পদ, যাতে করে বাধাদান করতে পারে আল্লাহর পথে। বস্তুতঃ এখন তারা আরো ব্যয় করবে। তারপর তাই তাদের জন্য আক্ষেপের কারণ হয়ে এবং শেষ পর্যন্ত তারা হেরে যাবে। আর যারা কাফের তাদেরকে দোযখের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। |
The Unbelievers spend their wealth to hinder (man) from the path of Allah, and so will they continue to spend; but in the end they will have (only) regrets and sighs; at length they will be overcome: and the Unbelievers will be gathered together to Hell;- |
37 |
لِيَمِيزَ ٱللَّهُ ٱلْخَبِيثَ مِنَ ٱلطَّيِّبِ وَيَجْعَلَ ٱلْخَبِيثَ بَعْضَهُۥ عَلَىٰ بَعْضٍ فَيَرْكُمَهُۥ جَمِيعًا فَيَجْعَلَهُۥ فِى جَهَنَّمَ أُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْخَٰسِرُونَ |
লিয়ামীঝাল্লা-হুল খাবীছা মিনাততাইয়িবি ওয়া ইয়াজ‘আলাল খাবীছা বা‘দাহূ‘আলাবা‘দিন ফাইয়ারকুমাহূজামী‘আন ফাইয়াজ‘আলাহূফী জাহান্নামা উলাইকা হুমুল খাছিরূন। |
|
যাতে পৃথক করে দেন আল্লাহ অপবিত্র ও না-পাককে পবিত্র ও পাক থেকে। আর যাতে একটির পর একটিকে স্থাপন করে সমবেত স্তুপে পরিণত করেন এবং পরে দোযখে নিক্ষেপ করেন। এরাই হল ক্ষতিগ্রস্ত। |
In order that Allah may separate the impure from the pure, put the impure, one on another, heap them together, and cast them into Hell. They will be the ones to have lost. |
38 |
قُل لِّلَّذِينَ كَفَرُوٓا۟ إِن يَنتَهُوا۟ يُغْفَرْ لَهُم مَّا قَدْ سَلَفَ وَإِن يَعُودُوا۟ فَقَدْ مَضَتْ سُنَّتُ ٱلْأَوَّلِينَ |
কুল লিল্লাযীনা কাফারূইয়ঁইয়ানতাহূইউগফারলাহুম মা-কাদ ছালাফা ওয়াইয়ঁ ইয়া‘ঊদূফাকাদ মাদাত ছুন্নাতুল আওওয়ালীন। |
|
তুমি বলে দাও, কাফেরদেরকে যে, তারা যদি বিরত হয়ে যায়, তবে যা কিছু ঘটে গেছে ক্ষমা হবে যাবে। পক্ষান্তরে আবারও যদি তাই করে, তবে পুর্ববর্তীদের পথ নির্ধারিত হয়ে গেছে। |
Say to the Unbelievers, if (now) they desist (from Unbelief), their past would be forgiven them; but if they persist, the punishment of those before them is already (a matter of warning for them). |
39 |
وَقَٰتِلُوهُمْ حَتَّىٰ لَا تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ ٱلدِّينُ كُلُّهُۥ لِلَّهِ فَإِنِ ٱنتَهَوْا۟ فَإِنَّ ٱللَّهَ بِمَا يَعْمَلُونَ بَصِيرٌ |
ওয়া কা-তিলূহুম হাত্তা-লা-তাকূনা ফিতনাতুওঁ ওয়া ইয়াকূনাদদীনুকুল্লুহূলিল্লা-হি ফাইনিন তাহাও ফাইন্নাল্লা-হা বিমা-ইয়া‘মালূনা বাসীর। |
|
আর তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাক যতক্ষণ না ভ্রান্তি শেষ হয়ে যায়; এবং আল্লাহর সমস্ত হুকুম প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। তারপর যদি তারা বিরত হয়ে যায়, তবে আল্লাহ তাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করেন। |
And fight them on until there is no more tumult or oppression, and there prevail justice and faith in Allah altogether and everywhere; but if they cease, verily Allah doth see all that they do. |
40 |
وَإِن تَوَلَّوْا۟ فَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ مَوْلَىٰكُمْ نِعْمَ ٱلْمَوْلَىٰ وَنِعْمَ ٱلنَّصِيرُ |
ওয়া ইন তাওয়াল্লাও ফা‘লামূআন্নাল্লা-হা মাওলা-কুম নি‘মাল মাওলা-ওয়া নি‘মান নাসীর। |
|
আর তারা যদি না মানে, তবে জেনে রাখ, আল্লাহ তোমাদের সমর্থক; এবং কতই না চমৎকার সাহায্যকারী। |
If they refuse, be sure that Allah is your Protector - the best to protect and the best to help. |
41 |
وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّمَا غَنِمْتُم مِّن شَىْءٍ فَأَنَّ لِلَّهِ خُمُسَهُۥ وَلِلرَّسُولِ وَلِذِى ٱلْقُرْبَىٰ وَٱلْيَتَٰمَىٰ وَٱلْمَسَٰكِينِ وَٱبْنِ ٱلسَّبِيلِ إِن كُنتُمْ ءَامَنتُم بِٱللَّهِ وَمَآ أَنزَلْنَا عَلَىٰ عَبْدِنَا يَوْمَ ٱلْفُرْقَانِ يَوْمَ ٱلْتَقَى ٱلْجَمْعَانِ وَٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ |
ওয়া‘লামূআন্নামা-গানিমতুম মিন শাইয়িন ফাআন্না লিল্লা-হি খুমুছাহূওয়া লিররাছূলি ওয়া লিযিল কুরবা-ওয়াল ইয়াতা-মা-ওয়াল মাছা-কীনি ওয়াবনিছ ছাবীলি ইন কুনতুম আমানতুম বিল্লা-হি ওয়া মাআনঝালনা-‘আলা-‘আবদিনা-ইয়াওমাল ফুরকা-নি ইয়াওমাল তাকাল জাম‘আ-নি ওয়াল্লা-হু ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর। |
|
আর এ কথাও জেনে রাখ যে, কোন বস্তু-সামগ্রীর মধ্য থেকে যা কিছু তোমরা গনীমত হিসাবে পাবে, তার এক পঞ্চমাংশ হল আল্লাহর জন্য, রসূলের জন্য, তাঁর নিকটাত্নীয়-স্বজনের জন্য এবং এতীম-অসহায় ও মুসাফিরদের জন্য; যদি তোমাদের বিশ্বাস থাকে আল্লাহর উপর এবং সে বিষয়ের উপর যা আমি আমার বান্দার প্রতি অবতীর্ণ করেছি ফয়সালার দিনে, যেদিন সম্মুখীন হয়ে যায় উভয় সেনাদল। আর আল্লাহ সব কিছুর উপরই ক্ষমতাশীল। |
And know that out of all the booty that ye may acquire (in war), a fifth share is assigned to Allah,- and to the Messenger, and to near relatives, orphans, the needy, and the wayfarer,- if ye do believe in Allah and in the revelation We sent down to Our servant on the Day of Testing,- the Day of the meeting of the two forces. For Allah hath power over all things. |
42 |
إِذْ أَنتُم بِٱلْعُدْوَةِ ٱلدُّنْيَا وَهُم بِٱلْعُدْوَةِ ٱلْقُصْوَىٰ وَٱلرَّكْبُ أَسْفَلَ مِنكُمْ وَلَوْ تَوَاعَدتُّمْ لَٱخْتَلَفْتُمْ فِى ٱلْمِيعَٰدِ وَلَٰكِن لِّيَقْضِىَ ٱللَّهُ أَمْرًا كَانَ مَفْعُولًا لِّيَهْلِكَ مَنْ هَلَكَ عَنۢ بَيِّنَةٍ وَيَحْيَىٰ مَنْ حَىَّ عَنۢ بَيِّنَةٍ وَإِنَّ ٱللَّهَ لَسَمِيعٌ عَلِيمٌ |
ইযআনতুম বিল ‘উদওয়াতিদদুনইয়া-ওয়া হুম বিল‘উদওয়াতিল কুসওয়া-ওয়াররাকবু আছফালা মিনকুম ওয়া লাও তাওয়া-‘আততুম লাখতালাফতুম ফিল মী‘আ-দি ওয়ালাকিল লিয়াকদিইয়াল্লা-হু আমরান কা-না মাফ‘ঊলাল লিইয়াহলিকা মান হালাকা ‘আম বাইয়িনাতিওঁ ওয়া ইয়াহইয়া-মান হাইয়া ‘আম বাইয়িনাতিওঁ; ওয়া ইন্নাল্লা-হা লাছামী‘উন আলীম। |
|
আর যখন তোমরা ছিলে সমরাঙ্গনের এ প্রান্তে আর তারা ছিল সে প্রান্তে অথচ কাফেলা তোমাদের থেকে নীচে নেমে গিয়েছিল। এমতাবস্থায় যদি তোমরা পারস্পরিক অঙ্গীকারাবদ্ধ হতে, তবে তোমরা এক সঙ্গে সে ওয়াদা পালন করতে পারতে না। কিন্তু আল্লাহ তা’আলা এমন এক কাজ করতে চেয়েছিলেন, যা নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল যাতে সে সব লোক নিহত হওয়ার ছিল, প্রমাণ প্রতিষ্ঠার পর এবং যাদের বাঁচার ছিল, তারা বেঁচে থাকে প্রমাণ প্রতিষ্ঠার পর। আর নিশ্চিতই আল্লাহ শ্রবণকারী, বিজ্ঞ। |
Remember ye were on the hither side of the valley, and they on the farther side, and the caravan on lower ground than ye. Even if ye had made a mutual appointment to meet, ye would certainly have failed in the appointment: But (thus ye met), that Allah might accomplish a matter already enacted; that those who died might die after a clear Sign (had been given), and those who lived might live after a Clear Sign (had been given). And verily Allah is He Who heareth and knoweth (all things). |
43 |
إِذْ يُرِيكَهُمُ ٱللَّهُ فِى مَنَامِكَ قَلِيلًا وَلَوْ أَرَىٰكَهُمْ كَثِيرًا لَّفَشِلْتُمْ وَلَتَنَٰزَعْتُمْ فِى ٱلْأَمْرِ وَلَٰكِنَّ ٱللَّهَ سَلَّمَ إِنَّهُۥ عَلِيمٌۢ بِذَاتِ ٱلصُّدُورِ |
ইয ইউরীকাহুমুল্লা -হু ফী মানা-মিকা কালীলাওঁ ওয়া লাও আরা-কাহুম কাছীরাল লাফাশিলতুম ওয়ালা তানা-ঝা‘তুম ফিল আমরি ওয়ালা-কিন্নাল্লা-হা ছাল্লামা ইন্নাহূ ‘আলীমুম বিযা-তিসসুদূ র। |
|
আল্লাহ যখন তোমাকে স্বপ্নে সেসব কাফেরের পরিমাণ অল্প করে দেখালেন; বেশী করে দেখালে তোমরা কাপুরুষতা অবলম্বন করতে এবং কাজের বেলায় বিপদ সৃষ্টি করতে। কিন্তু আল্লাহ বাঁচিয়ে দিয়েছেন। তিনি অতি উত্তমভাবেই জানেন; যা কিছু অন্তরে রয়েছে। |
Remember in thy dream Allah showed them to thee as few: if He had shown them to thee as many, ye would surely have been discouraged, and ye would surely have disputed in (your) decision; but Allah saved (you): for He knoweth well the (secrets) of (all) hearts. |
44 |
وَإِذْ يُرِيكُمُوهُمْ إِذِ ٱلْتَقَيْتُمْ فِىٓ أَعْيُنِكُمْ قَلِيلًا وَيُقَلِّلُكُمْ فِىٓ أَعْيُنِهِمْ لِيَقْضِىَ ٱللَّهُ أَمْرًا كَانَ مَفْعُولًا وَإِلَى ٱللَّهِ تُرْجَعُ ٱلْأُمُورُ |
ওয়া ইযইউরীকুমূহুম ইযিলতাকাইতুম ফীআ‘ইউনিকুম কালীলাওঁ ওয়া ইউকালিল্লুকুম ফীআ‘ইউনিহিম লিয়াকদিইয়াল্লা-হু আমরান কা-না মাফ‘ঊলাওঁ ওয়া ইলাল্লা-হি তুরজা‘উল উমূর। |
|
আর যখন তোমাদেরকে দেখালেন সে সৈন্যদল মোকাবেলার সময় তোমাদের চোখে অল্প এবং তোমাদেরকে দেখালেন তাদের চোখে বেশী, যাতে আল্লাহ সে কাজ করে নিতে পারেন যা ছিল নির্ধারিত। আর সব কাজই আল্লাহর নিকট গিয়ে পৌছায়। |
And remember when ye met, He showed them to you as few in your eyes, and He made you appear as contemptible in their eyes: that Allah might accomplish a matter already enacted. For to Allah do all questions go back (for decision). |
45 |
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ إِذَا لَقِيتُمْ فِئَةً فَٱثْبُتُوا۟ وَٱذْكُرُوا۟ ٱللَّهَ كَثِيرًا لَّعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ |
ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূইযা-লাকীতুম ফিআতান ফাছবুতূওয়াযকুরুল্লা-হা কাছীরাল লা‘আল্লাকুম তুফলিহূন। |
|
হে ঈমানদারগণ, তোমরা যখন কোন বাহিনীর সাথে সংঘাতে লিপ্ত হও, তখন সুদৃঢ় থাক এবং আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ কর যাতে তোমরা উদ্দেশ্যে কৃতকার্য হতে পার। |
O ye who believe! When ye meet a force, be firm, and call Allah in remembrance much (and often); that ye may prosper: |
46 |
وَأَطِيعُوا۟ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ وَلَا تَنَٰزَعُوا۟ فَتَفْشَلُوا۟ وَتَذْهَبَ رِيحُكُمْ وَٱصْبِرُوٓا۟ إِنَّ ٱللَّهَ مَعَ ٱلصَّٰبِرِينَ |
ওয়া আতী‘উল্লা-হা ওয়া রাছূলাহূওয়ালা-তানা-ঝা‘ঊ ফাতাফশালূওয়া তাযহাবা রীহুকুম ওয়াসবিরূ ইন্নাল্লা-হা মা‘আসসা-বিরীন। |
|
আর আল্লাহ তা’আলার নির্দেশ মান্য কর এবং তাঁর রসূলের। তাছাড়া তোমরা পরস্পরে বিবাদে লিপ্ত হইও না। যদি তা কর, তবে তোমরা কাপুরুষ হয়ে পড়বে এবং তোমাদের প্রভাব চলে যাবে। আর তোমরা ধৈর্য্যধারণ কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা রয়েছেন ধৈর্য্যশীলদের সাথে। |
And obey Allah and His Messenger; and fall into no disputes, lest ye lose heart and your power depart; and be patient and persevering: For Allah is with those who patiently persevere: |
47 |
وَلَا تَكُونُوا۟ كَٱلَّذِينَ خَرَجُوا۟ مِن دِيَٰرِهِم بَطَرًا وَرِئَآءَ ٱلنَّاسِ وَيَصُدُّونَ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِ وَٱللَّهُ بِمَا يَعْمَلُونَ مُحِيطٌ |
ওয়ালা-তাকূনূকাল্লাযীনা খারাজুমিন দিয়া-রিহিম বাতারাওঁ ওয়া রিআআন্না-ছি ওয়া ইয়াসুদ্দূনা ‘আন ছাবীলিল্লা-হি ওয়াল্লা-হু বিমা-ইয়া‘মালূনা মুহীত। |
|
আর তাদের মত হয়ে যেয়ো না, যারা বেরিয়েছে নিজেদের অবস্থান থেকে গর্বিতভাবে এবং লোকদেরকে দেখাবার উদ্দেশে। আর আল্লাহর পথে তারা বাধা দান করত। বস্তুতঃ আল্লাহর আয়ত্বে রয়েছে সে সমস্ত বিষয় যা তারা করে। |
And be not like those who started from their homes insolently and to be seen of men, and to hinder (men) from the path of Allah: For Allah compasseth round about all that they do. |
48 |
وَإِذْ زَيَّنَ لَهُمُ ٱلشَّيْطَٰنُ أَعْمَٰلَهُمْ وَقَالَ لَا غَالِبَ لَكُمُ ٱلْيَوْمَ مِنَ ٱلنَّاسِ وَإِنِّى جَارٌ لَّكُمْ فَلَمَّا تَرَآءَتِ ٱلْفِئَتَانِ نَكَصَ عَلَىٰ عَقِبَيْهِ وَقَالَ إِنِّى بَرِىٓءٌ مِّنكُمْ إِنِّىٓ أَرَىٰ مَا لَا تَرَوْنَ إِنِّىٓ أَخَافُ ٱللَّهَ وَٱللَّهُ شَدِيدُ ٱلْعِقَابِ |
ওয়াইযঝাইইয়ানা লাহুমুশশাইতা-নুআ‘মা-লাহুম ওয়া কা-লা লা-গা-লিবা লাকুমুল ইয়াওমা মিনান্না-ছি ওয়া ইন্নী জা-রুল্লাকুম ফালাম্মা-তারা-আতিল ফিআতা-নি নাকাসা ‘আলা-‘আকিবাইহি ওয়া কা-লা ইন্নী বারীউম মিনকুম ইন্নীআরা-মা-লা-তারাওনা ইন্নীআখা-ফুল্লা-হা ওয়াল্লা-হু শাদীদুল ‘ইকা-ব। |
|
আর যখন সুদৃশ্য করে দিল শয়তান তাদের দৃষ্টিতে তাদের কার্যকলাপকে এবং বলল যে, আজকের দিনে কোন মানুষই তোমাদের উপর বিজয়ী হতে পারবে না আর আমি হলাম তোমাদের সমর্থক, অতঃপর যখন সামনাসামনী হল উভয় বাহিনী তখন সে অতি দ্রুত পায়ে পেছনে দিকে পালিয়ে গেল এবং বলল, আমি তোমাদের সাথে না-আমি দেখছি, যা তোমরা দেখছ না; আমি ভয় করি আল্লাহকে। আর আল্লাহর আযাব অত্যন্ত কঠিন। |
Remember Satan made their (sinful) acts seem alluring to them, and said: "No one among men can overcome you this day, while I am near to you": But when the two forces came in sight of each other, he turned on his heels, and said: "Lo! I am clear of you; lo! I see what ye see not; Lo! I fear Allah: for Allah is strict in punishment." |
49 |
إِذْ يَقُولُ ٱلْمُنَٰفِقُونَ وَٱلَّذِينَ فِى قُلُوبِهِم مَّرَضٌ غَرَّ هَٰٓؤُلَآءِ دِينُهُمْ وَمَن يَتَوَكَّلْ عَلَى ٱللَّهِ فَإِنَّ ٱللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ |
ইযইয়াকূলুল মুনা-ফিকূনা ওয়াল্লাযীনা ফী কুলূবিহিম মারাদুন গাররা হাউলাই দীনুহুম ওয়া মাইঁ ইয়াতাওয়াক্কাল ‘আলাল্লা-হি ফাইন্নাল্লা-হা ‘আঝীঝুন হাকীম। |
|
যখন মোনাফেকরা বলতে লাগল এবং যাদের অন্তর ব্যাধিগ্রস্ত, এরা নিজেদের ধর্মের উপর গর্বিত। বস্তুতঃ যারা ভরসা করে আল্লাহর উপর, সে নিশ্চিন্ত, কেননা আল্লাহ অতি পরাক্রমশীল, সুবিজ্ঞ। |
Lo! the hypocrites say, and those in whose hearts is a disease: "These people,- their religion has misled them." But if any trust in Allah, behold! Allah is Exalted in might, Wise. |
50 |
وَلَوْ تَرَىٰٓ إِذْ يَتَوَفَّى ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ ٱلْمَلَٰٓئِكَةُ يَضْرِبُونَ وُجُوهَهُمْ وَأَدْبَٰرَهُمْ وَذُوقُوا۟ عَذَابَ ٱلْحَرِيقِ |
ওয়া লাও তারাইযইয়াতাওয়াফফাল্লাযীনা কাফারুল মালাইকাতুইয়াদরিবূনা উজূহাহুম ওয়া আদবা-রাহুম ওয়া যূকূ‘আযা-বাল হারীক। |
|
আর যদি তুমি দেখ, যখন ফেরেশতারা কাফেরদের জান কবজ করে; প্রহার করে, তাদের মুখে এবং তাদের পশ্চাদদেশে আর বলে, জ্বলন্ত আযাবের স্বাদ গ্রহণ কর। |
If thou couldst see, when the angels take the souls of the Unbelievers (at death), (How) they smite their faces and their backs, (saying): "Taste the penalty of the blazing Fire- |
51 |
ذَٰلِكَ بِمَا قَدَّمَتْ أَيْدِيكُمْ وَأَنَّ ٱللَّهَ لَيْسَ بِظَلَّٰمٍ لِّلْعَبِيدِ |
যা-লিকা বিমা-কাদ্দামাত আইদীকুম ওয়া আন্নাল্লা-হা লাইছা বিজাল্লা-মিল লিল ‘আবীদ। |
|
এই হলো সে সবের বিনিময় যা তোমরা তোমাদের পূর্বে পাঠিয়েছ নিজের হাতে। বস্তুতঃ এটি এ জন্য যে, আল্লাহ বান্দার উপর যুলুম করেন না। |
"Because of (the deeds) which your (own) hands sent forth; for Allah is never unjust to His servants: |
52 |
كَدَأْبِ ءَالِ فِرْعَوْنَ وَٱلَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ كَفَرُوا۟ بِـَٔايَٰتِ ٱللَّهِ فَأَخَذَهُمُ ٱللَّهُ بِذُنُوبِهِمْ إِنَّ ٱللَّهَ قَوِىٌّ شَدِيدُ ٱلْعِقَابِ |
কাদা’বি আ-লি ফির‘আওনা ওয়াল্লাযীনা মিন কাবলিহিম কাফারু বিআ-য়া-তিল্লা-হি ফাআখাযাহুমুল্লা-হু বিযুনূবিহিম ইন্নাল্লা-হা কাবিউন শাদীদুল ‘ইকা-ব। |
|
যেমন, রীতি রয়েছে ফেরাউনের অনুসারীদের এবং তাদের পূর্বে যারা ছিল তাদের ব্যাপারে যে, এরা আল্লাহর নির্দেশের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেছে এবং সেজন্য আল্লাহ তা’আলা তাদের পাকড়াও করেছেন তাদেরই পাপের দরুন। নিঃসন্দেহে আল্লাহ মহাশক্তিশালী, কঠিন শাস্তিদাতা। |
"(Deeds) after the manner of the people of Pharaoh and of those before them: They rejected the Signs of Allah, and Allah punished them for their crimes: for Allah is Strong, and Strict in punishment: |
53 |
ذَٰلِكَ بِأَنَّ ٱللَّهَ لَمْ يَكُ مُغَيِّرًا نِّعْمَةً أَنْعَمَهَا عَلَىٰ قَوْمٍ حَتَّىٰ يُغَيِّرُوا۟ مَا بِأَنفُسِهِمْ وَأَنَّ ٱللَّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٌ |
যা-লিকা বিআন্নাল্লা-হা লাম ইয়াকুমুগাইয়িরান নি‘মাতান আন‘আমাহা-‘আলা-কাওমিন হাত্তা-ইউগাইয়িরূমা-বিআনফুছিহিম ওয়া আন্নাল্লা-হা ছামী‘উন ‘আলীম। |
|
তার কারণ এই যে, আল্লাহ কখনও পরিবর্তন করেন না, সে সব নেয়ামত, যা তিনি কোন জাতিকে দান করেছিলেন, যতক্ষণ না সে জাতি নিজেই পরিবর্তিত করে দেয় নিজের জন্য নির্ধারিত বিষয়। বস্তুতঃ আল্লাহ শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী। |
"Because Allah will never change the grace which He hath bestowed on a people until they change what is in their (own) souls: and verily Allah is He Who heareth and knoweth (all things)." |
54 |
كَدَأْبِ ءَالِ فِرْعَوْنَ وَٱلَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ كَذَّبُوا۟ بِـَٔايَٰتِ رَبِّهِمْ فَأَهْلَكْنَٰهُم بِذُنُوبِهِمْ وَأَغْرَقْنَآ ءَالَ فِرْعَوْنَ وَكُلٌّ كَانُوا۟ ظَٰلِمِينَ |
কাদা’বি আ-লি ফির‘আওনা ওয়াল্লাযীনা মিন কাবলিহিম কাযযাবূবিআ-য়া-তি রাব্বিহিম ফাআহলাকনা-হুম বিযুনুবিহিম ওয়া আগরাকনা-আ-লা ফির‘আওনা ওয়া কুল্লুন কা-নূজা-লিমীন। |
|
যেমন ছিল রীতি ফেরাউনের বংশধর এবং যারা তাদের পূর্বে ছিল, তারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছিল স্বীয় পালনকর্তার নিদর্শনসমূহকে। অতঃপর আমি তাদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছি তাদের পাপের দরুন এবং ডুবিয়ে মেরেছি ফেরাউনের বংশধরদেরকে। বস্তুতঃ এরা সবাই ছিল যালেম। |
(Deeds) after the manner of the people of Pharaoh and those before them": They treated as false the Signs of their Lord: so We destroyed them for their crimes, and We drowned the people of Pharaoh: for they were all oppressors and wrong-doers. |
55 |
إِنَّ شَرَّ ٱلدَّوَآبِّ عِندَ ٱللَّهِ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ فَهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ |
ইন্না শাররাদ্দাওয়াব্বি ‘ইনদাল্লা-হিল্লাযীনা কাফারূফাহুম লা-ইউ’মিনূন। |
|
সমস্ত জীবের মাঝে আল্লাহর নিকট তারাই সবচেয়ে নিকৃষ্ট, যারা অস্বীকারকারী হয়েছে অতঃপর আর ঈমান আনেনি। |
For the worst of beasts in the sight of Allah are those who reject Him: They will not believe. |
56 |
ٱلَّذِينَ عَٰهَدتَّ مِنْهُمْ ثُمَّ يَنقُضُونَ عَهْدَهُمْ فِى كُلِّ مَرَّةٍ وَهُمْ لَا يَتَّقُونَ |
আল্লাযীনা ‘আ-হাততা মিনহুম ছু ম্মা ইয়ানকু দূ না ‘আহদাহুম ফী কুল্লি মাররাতিওঁ ওয়া হুম লা-ইয়াত্তাকূন। |
|
যাদের সাথে তুমি চুক্তি করেছ তাদের মধ্য থেকে অতঃপর প্রতিবার তারা নিজেদের কৃতচুক্তি লংঘন করে এবং ভয় করে না। |
They are those with whom thou didst make a covenant, but they break their covenant every time, and they have not the fear (of Allah). |
57 |
فَإِمَّا تَثْقَفَنَّهُمْ فِى ٱلْحَرْبِ فَشَرِّدْ بِهِم مَّنْ خَلْفَهُمْ لَعَلَّهُمْ يَذَّكَّرُونَ |
ফাইম্মা-তাছকাফান্নাহুম ফিল হারবি ফাশাররিদ বিহিম মান খালফাহুম লা‘আল্লাহুম ইয়াযযাক্কারূন। |
|
সুতরাং যদি কখনো তুমি তাদেরকে যুদ্ধে পেয়ে যাও, তবে তাদের এমন শাস্তি দাও, যেন তাদের উত্তরসূরিরা তাই দেখে পালিয়ে যায়; তাদেরও যেন শিক্ষা হয়। |
If ye gain the mastery over them in war, disperse, with them, those who follow them, that they may remember. |
58 |
وَإِمَّا تَخَافَنَّ مِن قَوْمٍ خِيَانَةً فَٱنۢبِذْ إِلَيْهِمْ عَلَىٰ سَوَآءٍ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُحِبُّ ٱلْخَآئِنِينَ |
ওয়া ইম্মা-তাখা-ফান্না মিন কাওমিন খিয়া-নাতান ফামবিযইলাইহিম ‘আলা-ছাওয়াইন ইন্নাল্লা-হা লা-ইউহিব্বুল খাইনীন। |
|
তবে কোন সম্প্রদায়ের ধোঁকা দেয়ার ব্যাপারে যদি তোমাদের ভয় থাকে, তবে তাদের চুক্তি তাদের দিকেই ছুঁড়ে ফেলে দাও এমনভাবে যেন হয়ে যাও তোমরাও তারা সমান। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধোকাবাজ, প্রতারককে পছন্দ করেন না। |
If thou fearest treachery from any group, throw back (their covenant) to them, (so as to be) on equal terms: for Allah loveth not the treacherous. |
59 |
وَلَا يَحْسَبَنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ سَبَقُوٓا۟ إِنَّهُمْ لَا يُعْجِزُونَ |
ওয়ালা-ইয়াহছাবান্নাল্লাযীনা কাফারূছাবাকূ ইন্নাহুম লা ইউ‘জিঝূন। |
|
আর কাফেররা যেন একা যা মনে না করে যে, তারা বেঁচে গেছে; কখনও এরা আমাকে পরিশ্রান্ত করতে পারবে না। |
Let not the unbelievers think that they can get the better (of the godly): they will never frustrate (them). |
60 |
وَأَعِدُّوا۟ لَهُم مَّا ٱسْتَطَعْتُم مِّن قُوَّةٍ وَمِن رِّبَاطِ ٱلْخَيْلِ تُرْهِبُونَ بِهِۦ عَدُوَّ ٱللَّهِ وَعَدُوَّكُمْ وَءَاخَرِينَ مِن دُونِهِمْ لَا تَعْلَمُونَهُمُ ٱللَّهُ يَعْلَمُهُمْ وَمَا تُنفِقُوا۟ مِن شَىْءٍ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ يُوَفَّ إِلَيْكُمْ وَأَنتُمْ لَا تُظْلَمُونَ |
ওয়া আ‘ইদ্দূলাহুম মাছতাতা‘তুম মিন কুওওয়াতিওঁ ওয়া মির রিবা-তিল খাইলি তুরহিবূনা বিহী ‘আদুওঁ ওআল্লা-হি ওয়া ‘আদুওঁ ওয়াকুম ওয়া আ-খারীনা মিন দূ নিহিম লাতা‘লামূনাহুম আল্লা-হু ইয়া‘লামুহুম ওয়া মা-তুনফিকূমিন -শাইয়িন ফী ছাবীলিল্লা-হি ইউওয়াফফা ইলাইকুম ওয়া আনতুম লা-তুজলামূন। |
|
আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যের মধ্যে থেকে এবং পালিত ঘোড়া থেকে, যেন প্রভাব পড়ে আল্লাহর শুত্রুদের উপর এবং তোমাদের শত্রুদের উপর আর তাদেরকে ছাড়া অন্যান্যদের উপর ও যাদেরকে তোমরা জান না; আল্লাহ তাদেরকে চেনেন। বস্তুতঃ যা কিছু তোমরা ব্যয় করবে আল্লাহর রাহে, তা তোমরা পরিপূর্ণভাবে ফিরে পাবে এবং তোমাদের কোন হক অপূর্ণ থাকবে না। |
Against them make ready your strength to the utmost of your power, including steeds of war, to strike terror into (the hearts of) the enemies, of Allah and your enemies, and others besides, whom ye may not know, but whom Allah doth know. Whatever ye shall spend in the cause of Allah, shall be repaid unto you, and ye shall not be treated unjustly. |
61 |
وَإِن جَنَحُوا۟ لِلسَّلْمِ فَٱجْنَحْ لَهَا وَتَوَكَّلْ عَلَى ٱللَّهِ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلْعَلِيمُ |
ওয়া ইন জানাহূলিছছালমি ফাজনাহলাহা-ওয়া তাওয়াক্কাল ‘আলাল্লা-হি ইন্নাহূহুওয়াছ ছামী‘উল ‘আলীম। |
|
আর যদি তারা সন্ধি করতে আগ্রহ প্রকাশ করে, তাহলে তুমিও সে দিকেই আগ্রহী হও এবং আল্লাহর উপর ভরসা কর। নিঃসন্দেহে তিনি শ্রবণকারী; পরিজ্ঞাত। |
But if the enemy incline towards peace, do thou (also) incline towards peace, and trust in Allah: for He is One that heareth and knoweth (all things). |
62 |
وَإِن يُرِيدُوٓا۟ أَن يَخْدَعُوكَ فَإِنَّ حَسْبَكَ ٱللَّهُ هُوَ ٱلَّذِىٓ أَيَّدَكَ بِنَصْرِهِۦ وَبِٱلْمُؤْمِنِينَ |
ওয়া ইয়ঁইউরীদূ আইঁ ইয়াখদা‘ঊকা ফাইন্না হাছবাকাল্লা-হু হুওয়াল্লাযী আইঁ ইয়াদাকা বিনাসরিহী ওয়া বিলমু’মিনীন। |
|
পক্ষান্তরে তারা যদি তোমাকে প্রতারণা করতে চায়, তবে তোমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনিই তোমাকে শক্তি যুগিয়েছেন স্বীয় সাহায্যে ও মুসলমানদের মাধ্যমে। |
Should they intend to deceive thee,- verily Allah sufficeth thee: He it is That hath strengthened thee with His aid and with (the company of) the Believers; |
63 |
وَأَلَّفَ بَيْنَ قُلُوبِهِمْ لَوْ أَنفَقْتَ مَا فِى ٱلْأَرْضِ جَمِيعًا مَّآ أَلَّفْتَ بَيْنَ قُلُوبِهِمْ وَلَٰكِنَّ ٱللَّهَ أَلَّفَ بَيْنَهُمْ إِنَّهُۥ عَزِيزٌ حَكِيمٌ |
ওয়া আল্লাফা বাইনা কুলূবিহিম লাও আনফাকতা মা-ফিল আরদিজামী‘আম মাআল্লাফতা বাইনা কুলূবিহিম ওয়ালা-কিন্নাল্লা-হা আল্লাফা বাইনাহুম ইন্নাহূ‘আঝীঝুন হাকীম। |
|
আর প্রীতি সঞ্চার করেছেন তাদের অন্তরে। যদি তুমি সেসব কিছু ব্যয় করে ফেলতে, যা কিছু যমীনের বুকে রয়েছে, তাদের মনে প্রীতি সঞ্চার করতে পারতে না। কিন্তু আল্লাহ তাদের মনে প্রীতি সঞ্চার করেছেন। নিঃসন্দেহে তিনি পরাক্রমশালী, সুকৌশলী। |
And (moreover) He hath put affection between their hearts: not if thou hadst spent all that is in the earth, couldst thou have produced that affection, but Allah hath done it: for He is Exalted in might, Wise. |
64 |
يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّبِىُّ حَسْبُكَ ٱللَّهُ وَمَنِ ٱتَّبَعَكَ مِنَ ٱلْمُؤْمِنِينَ |
ইয়াআইয়ুহান্নাবিইয়ুহাছবুকাল্লা-হু ওয়া মানিত তাবা‘আকা মিনাল মু’মিনীন। |
|
হে নবী, আপনার জন্য এবং যেসব মুসলমান আপনার সাথে রয়েছে তাদের সবার জন্য আল্লাহ যথেষ্ট। |
O Prophet! sufficient unto thee is Allah,- (unto thee) and unto those who follow thee among the Believers. |
65 |
يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّبِىُّ حَرِّضِ ٱلْمُؤْمِنِينَ عَلَى ٱلْقِتَالِ إِن يَكُن مِّنكُمْ عِشْرُونَ صَٰبِرُونَ يَغْلِبُوا۟ مِا۟ئَتَيْنِ وَإِن يَكُن مِّنكُم مِّا۟ئَةٌ يَغْلِبُوٓا۟ أَلْفًا مِّنَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ بِأَنَّهُمْ قَوْمٌ لَّا يَفْقَهُونَ |
ইয়াআইয়ুহান্নাবিইয়ুহাররিদিল মু’মিনীনা ‘আলাল কিতা-লি ইয়ঁইয়াকুম মিনকুম ‘ইশরূনা সা-বিরূনা ইয়াগলিবূমিআতাইনি ওয়া ইয়ঁইয়াকুম মিনকুম মিআতুইঁ ইয়াগলিবূ আলফাম মিনাল্লাযীনা কাফারূবিআন্নাহুম কাওমুল লা-ইয়াফকাহূন। |
|
হে নবী, আপনি মুসলমানগণকে উৎসাহিত করুন জেহাদের জন্য। তোমাদের মধ্যে যদি বিশ জন দৃঢ়পদ ব্যক্তি থাকে, তবে জয়ী হবে দু’শর মোকাবেলায়। আর যদি তোমাদের মধ্যে থাকে একশ লোক, তবে জয়ী হবে হাজার কাফেরের উপর থেকে তার কারণ ওরা জ্ঞানহীন। |
O Prophet! rouse the Believers to the fight. If there are twenty amongst you, patient and persevering, they will vanquish two hundred: if a hundred, they will vanquish a thousand of the Unbelievers: for these are a people without understanding. |
66 |
ٱلْـَٰٔنَ خَفَّفَ ٱللَّهُ عَنكُمْ وَعَلِمَ أَنَّ فِيكُمْ ضَعْفًا فَإِن يَكُن مِّنكُم مِّا۟ئَةٌ صَابِرَةٌ يَغْلِبُوا۟ مِا۟ئَتَيْنِ وَإِن يَكُن مِّنكُمْ أَلْفٌ يَغْلِبُوٓا۟ أَلْفَيْنِ بِإِذْنِ ٱللَّهِ وَٱللَّهُ مَعَ ٱلصَّٰبِرِينَ |
আলআ-না খাফফাফাল্লা-হু ‘আনকুম ওয়া ‘আলিমা আন্না ফীকুম দা‘ফান ফাইয়ঁইয়াকুম মিনকুম মিআতুন সা-বিরাতুইঁ ইয়াগলিবূমিআতাইনি ওয়াইঁ ইয়াকুম মিনকুম আলফুইঁ ইয়াগলিবূআলফাইনি বিইযনিল্লা-হি ওয়াল্লা-হু মা‘আসসা-বিরীন। |
|
এখন বোঝা হালকা করে দিয়েছেন আল্লাহ তা’আলা তোমাদের উপর এবং তিনি জেনে নিয়েছেন যে, তোমাদের মধ্য দূর্বলতা রয়েছে। কাজেই তোমাদের মধ্যে যদি দৃঢ়চিত্ত একশ লোক বিদ্যমান থাকে, তবে জয়ী হবে দু’শর উপর। আর যদি তোমরা এক হাজার হও তবে আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী জয়ী হবে দু’হাজারের উপর আর আল্লাহ রয়েছেন দৃঢ়চিত্ত লোকদের সাথে। |
For the present, Allah hath lightened your (task), for He knoweth that there is a weak spot in you: But (even so), if there are a hundred of you, patient and persevering, they will vanquish two hundred, and if a thousand, they will vanquish two thousand, with the leave of Allah: for Allah is with those who patiently persevere. |
67 |
مَا كَانَ لِنَبِىٍّ أَن يَكُونَ لَهُۥٓ أَسْرَىٰ حَتَّىٰ يُثْخِنَ فِى ٱلْأَرْضِ تُرِيدُونَ عَرَضَ ٱلدُّنْيَا وَٱللَّهُ يُرِيدُ ٱلْءَاخِرَةَ وَٱللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ |
মা-কা-না লিনাবিইয়িন আইঁ ইয়াকূনা লাহূআছরা-হাত্তা-ইউছখিনা ফিল আরদি তুরীদূ না ‘আরাদাদদুনইয়া- ওয়াল্লা-হু ইউরীদুল আ-খিরাতা ওয়াল্লা-হু ‘আঝীঝুন হাকীম । |
|
নবীর পক্ষে উচিত নয় বন্দীদিগকে নিজের কাছে রাখা, যতক্ষণ না দেশময় প্রচুর রক্তপাত ঘটাবে। তোমরা পার্থিব সম্পদ কামনা কর, অথচ আল্লাহ চান আখেরাত। আর আল্লাহ হচ্ছেন পরাক্রমশালী হেকমতওয়ালা। |
It is not fitting for a prophet that he should have prisoners of war until he hath thoroughly subdued the land. Ye look for the temporal goods of this world; but Allah looketh to the Hereafter: And Allah is Exalted in might, Wise. |
68 |
لَّوْلَا كِتَٰبٌ مِّنَ ٱللَّهِ سَبَقَ لَمَسَّكُمْ فِيمَآ أَخَذْتُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ |
লাও লা-কিতা-বুমমিনাল্লা-হি ছাবাকা লামাছছাকুমফীমাআখাযতুম‘আযা-বুন‘আজীম। |
|
যদি একটি বিষয় না হত যা পূর্ব থেকেই আল্লাহ লিখে রেখেছেন, তাহলে তোমরা যা গ্রহণ করছ সেজন্য বিরাট আযাব এসে পৌছাত। |
Had it not been for a previous ordainment from Allah, a severe penalty would have reached you for the (ransom) that ye took. |
69 |
فَكُلُوا۟ مِمَّا غَنِمْتُمْ حَلَٰلًا طَيِّبًا وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ |
ফাকুলূমিম্মা-গনিমতুম হালা-লান তাইয়িবাওঁ ওয়াত্তাকুল্লা-হা ইন্নাল্লা-হা গাফূরুর রাহীম। |
|
সুতরাং তোমরা খাও গনীমত হিসাবে তোমরা যে পরিচ্ছন্ন ও হালাল বস্তু অর্জন করেছ তা থেকে। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, মেহেরবান। |
But (now) enjoy what ye took in war, lawful and good: but fear Allah: for Allah is Oft-forgiving, Most Merciful. |
70 |
يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّبِىُّ قُل لِّمَن فِىٓ أَيْدِيكُم مِّنَ ٱلْأَسْرَىٰٓ إِن يَعْلَمِ ٱللَّهُ فِى قُلُوبِكُمْ خَيْرًا يُؤْتِكُمْ خَيْرًا مِّمَّآ أُخِذَ مِنكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ وَٱللَّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ |
ইয়াআইয়ুহান্নাবিইয়ুকুল লিমান ফীআইদীকুম মিনাল আছরা ইয়ঁইয়া‘লামিল্লা-হু ফী কুলূবিকুম খাইরাইঁ ইউ’তিকুম খাইরাম মিম্মা-উখিযা মিনকুম ওয়া ইয়াগফির লাকুম ওয়াল্লা-হু গাফূরুর রাহীম। |
|
হে নবী, তাদেরকে বলে দাও, যারা তোমার হাতে বন্দী হয়ে আছে যে, আল্লাহ যদি তোমাদের অন্তরে কোন রকম মঙ্গলচিন্তা রয়েছে বলে জানেন, তবে তোমাদেরকে তার চেয়ে বহুগুণ বেশী দান করবেন যা তোমাদের কাছ থেকে বিনিময়ে নেয়া হয়েছে। তাছাড়া তোমাদেরকে তিনি ক্ষমা করে দিবেন। বস্তুতঃ আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়। |
O Prophet! say to those who are captives in your hands: "If Allah findeth any good in your hearts, He will give you something better than what has been taken from you, and He will forgive you: for Allah is Oft-forgiving, Most Merciful." |
71 |
وَإِن يُرِيدُوا۟ خِيَانَتَكَ فَقَدْ خَانُوا۟ ٱللَّهَ مِن قَبْلُ فَأَمْكَنَ مِنْهُمْ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ |
ওয়া ইয়ঁইউরীদূখিয়া-নাতাকা ফাকাদ খা-নুল্লা-হা মিন কাবলুফাআমকানা মিনহুম ওয়াল্লা-হু ‘আলীমুন হাকীম। |
|
আর যদি তারা তোমার সাথে প্রতারণা করতে চায়-বস্তুতঃ তারা আল্লাহর সাথেও ইতিপূর্বে প্রতারণা করেছে, অতঃপর তিনি তাদেরকে ধরিয়ে দিয়েছেন। আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে পরিজ্ঞাত, সুকৌশলী। |
But if they have treacherous designs against thee, (O Messenger!), they have already been in treason against Allah, and so hath He given (thee) power over them. And Allah so He Who hath (full) knowledge and wisdom. |
72 |
إِنَّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَهَاجَرُوا۟ وَجَٰهَدُوا۟ بِأَمْوَٰلِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ وَٱلَّذِينَ ءَاوَوا۟ وَّنَصَرُوٓا۟ أُو۟لَٰٓئِكَ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَآءُ بَعْضٍ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَلَمْ يُهَاجِرُوا۟ مَا لَكُم مِّن وَلَٰيَتِهِم مِّن شَىْءٍ حَتَّىٰ يُهَاجِرُوا۟ وَإِنِ ٱسْتَنصَرُوكُمْ فِى ٱلدِّينِ فَعَلَيْكُمُ ٱلنَّصْرُ إِلَّا عَلَىٰ قَوْمٍۭ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهُم مِّيثَٰقٌ وَٱللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ |
ইন্নাল্লাযীনা আ-মানূওয়া হা-জারূ ওয়া জা-হাদূ বিআমওয়া-লিহিম ওয়া আনফুছিহিম ফী ছাবীলিল্লা-হি ওয়াল্লাযীনা আ-ওয়াওঁ ওয়া নাসারূউলাইকা বা‘দুহুম আওলিয়াউ বা‘দিওঁ ওয়াল্লাযীনা আ-মানূওয়া লাম ইউহা-জিরূমা-লাকুম মিওঁ ওয়ালা-ইয়াতিহিম মিন শাইয়িন হাত্তা-ইউহাজিরু ওয়া ইনিছ তানসারূকুম ফিদদীনি ফা‘আলাইকুমুন্নাসরু ইল্লা-‘আলা-কাওমিম বাইনাকুম ওয়াবাইনাহুম মীছা-কুওঁ ওয়াল্লা-হুবিমা-তা‘মালূনা বাসীর। |
|
এতে কোন সন্দেহ নেই যে, যারা ঈমান এনেছে, দেশ ত্যাগ করেছে, স্বীয় জান ও মাল দ্বারা আল্লাহর রাহে জেহাদ করেছে এবং যারা তাদেরকে আশ্রয় ও সাহায্য সহায়তা দিয়েছে, তারা একে অপরের সহায়ক। আর যারা ঈমান এনেছে কিন্তু দেশ ত্যাগ করেনি তাদের বন্ধুত্বে তোমাদের প্রয়োজন নেই যতক্ষণ না তারা দেশত্যাগ করে। অবশ্য যদি তারা ধর্মীয় ব্যাপারে তোমাদের সহায়তা কামনা করে, তবে তাদের সাহায্য করা তোমাদের কর্তব্য। কিন্তু তোমাদের সাথে যাদের সহযোগী চুক্তি বিদ্যমান রয়েছে, তাদের মোকাবেলায় নয়। বস্তুতঃ তোমরা যা কিছু কর, আল্লাহ সেসবই দেখেন। |
Those who believed, and adopted exile, and fought for the Faith, with their property and their persons, in the cause of Allah, as well as those who gave (them) asylum and aid,- these are (all) friends and protectors, one of another. As to those who believed but came not into exile, ye owe no duty of protection to them until they come into exile; but if they seek your aid in religion, it is your duty to help them, except against a people with whom ye have a treaty of mutual alliance. And (remember) Allah seeth all that ye do. |
73 |
وَٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَآءُ بَعْضٍ إِلَّا تَفْعَلُوهُ تَكُن فِتْنَةٌ فِى ٱلْأَرْضِ وَفَسَادٌ كَبِيرٌ |
ওয়াল্লাযীনা কাফারূবা‘দুহুম আওলিয়াউ বা‘দিন ইল্লা-তাফ‘আলূহু তাকুন ফিতনাতুন ফিল আরদিওয়া ফাছা-দুন কাবীর। |
|
আর যারা কাফের তারা পারস্পরিক সহযোগী, বন্ধু। তোমরা যদি এমন ব্যবস্থা না কর, তবে দাঙ্গা-হাঙ্গামা বিস্তার লাভ করবে এবং দেশময় বড়ই অকল্যাণ হবে। |
The Unbelievers are protectors, one of another: Unless ye do this, (protect each other), there would be tumult and oppression on earth, and great mischief. |
74 |
وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَهَاجَرُوا۟ وَجَٰهَدُوا۟ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ وَٱلَّذِينَ ءَاوَوا۟ وَّنَصَرُوٓا۟ أُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْمُؤْمِنُونَ حَقًّا لَّهُم مَّغْفِرَةٌ وَرِزْقٌ كَرِيمٌ |
ওয়াল্লাযীনা আ-মানূওয়া হা-জারূওয়া জা-হাদূফী ছাবীলিল্লা-হি ওয়াল্লাযীনা আ-ওয়াওঁ ওয়া নাসারুউলাইকা হুমুল মু’মিনূনা হাক্কাল লাহুম মাগফিরাতুওঁ ওয়া রিঝকুন কারীম। |
|
আর যারা ঈমান এনেছে, নিজেদের ঘর-বাড়ী ছেড়েছে এবং আল্লাহর রাহে জেহাদ করেছে এবং যারা তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছে, সাহায্য-সহায়তা করেছে, তাঁরা হলো সত্যিকার মুসলমান। তাঁদের জন্যে রয়েছে, ক্ষমা ও সম্মানজনক রুযী। |
Those who believe, and adopt exile, and fight for the Faith, in the cause of Allah as well as those who give (them) asylum and aid,- these are (all) in very truth the Believers: for them is the forgiveness of sins and a provision most generous. |
75 |
وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ مِنۢ بَعْدُ وَهَاجَرُوا۟ وَجَٰهَدُوا۟ مَعَكُمْ فَأُو۟لَٰٓئِكَ مِنكُمْ وَأُو۟لُوا۟ ٱلْأَرْحَامِ بَعْضُهُمْ أَوْلَىٰ بِبَعْضٍ فِى كِتَٰبِ ٱللَّهِ إِنَّ ٱللَّهَ بِكُلِّ شَىْءٍ عَلِيمٌۢ |
ওয়াল্লাযীনা আ-মানূমিম বা‘দুওয়া হা-জারূওয়া জা-হাদূমা‘আকুম ফাউলাইকা মিনকুম ওয়া ঊলুল আরহা-মি বা‘দুহুম আওলাউ ব্বিা‘দিন ফী কিতা-বিল্লা-হি ইন্নাল্লাহা বিকুল্লি শাইয়িন ‘আলীম। |
|
আর যারা ঈমান এনেছে পরবর্তী পর্যায়ে এবং ঘর-বাড়ী ছেড়েছে এবং তোমাদের সাথে সম্মিলিত হয়ে জেহাদ করেছে, তারাও তোমাদেরই অন্তর্ভুক্ত। বস্তুতঃ যারা আত্নীয়, আল্লাহর বিধান মতে তারা পরস্পর বেশী হকদার। নিশ্চয়ই আল্লাহ যাবতীয় বিষয়ে সক্ষম ও অবগত। |
And those who accept Faith subsequently, and adopt exile, and fight for the Faith in your company,- they are of you. But kindred by blood have prior rights against each other in the Book of Allah. Verily Allah is well-acquainted with all things. |